লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রকৃতির আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখেই মানুষ বেছে নেয় তাদের পছন্দের পোশাক। এই যেমন গরম থেকে বাঁচতে সুতি কাপড় আবার শীত থেকে বাঁচতে উলের পোশাক। কিন্তু আপনি কি জানেন? প্রকৃতিতে এমন এক ধরনের সহজলভ্য কাপড় রয়েছে যেটি গরমকালে ঠাণ্ডা আর শীতকালে গরম অনুভূতি দিতে পারে।
তন্তু বিশারদদের মতে, এমন বৈশিষ্ট্য মূলত রয়েছে খাদিতে। খাদি একটি বহুমুখী ফেব্রিক্স হওয়ায় এটি পরার পর গ্রীষ্মকালে শীতল এবং শীতকালে উষ্ণ অনুভব করা যায়। তাই সারা বছরই ব্যবহার করা যায় খাদি কাপড়ের তৈরি পোশাক।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলার খাদির জনপ্রিয়তা ছিল বিশ্বজোড়া। ১২শ শতাব্দীতে ইতালিয়ান ব্যবসায়ী মার্কো পোলো বাংলার খাদিকে ‘মাকড়সার জালের চেয়েও বেশি মিহি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
মধ্যযুগ এমনকি মোগল যুগে দেশীয় খাদির জনপ্রিয়তা এত বেশি ছিল যে বিদেশে রফতানি হত এ কাপড়। জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধী এবং সুহাসিনী দাস সব সময় খাদির পোশাকই পরেছেন।
মোটা ও পাতলা দুই ধরনেরই খাদি হয়ে থাকে। আগে শুধু সুতি ও সিল্ক খাদি উৎপাদন হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন রেশমী, মুগ, তসর, উলেরও খাদি তৈরি করা হচ্ছে। দেশীয় পোশাকের বিস্তৃতি ঘটাতে তৈরি করা হচ্ছে খাদির তৈরি পাঞ্জাবী, শাড়ি, থ্রি পিস, টু পিস, শার্ট, কুর্তা, টপ্স, শাল ও নানা ধরনের ওয়েস্টার্ন পোশাকও।
দেশীয় সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বিভিন্ন উৎসবে প্রাধান্য দিতে পারেন নানা ডিজাইনের খাদির পোশাক। এতে করে আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন আবার দেশীয় শিল্পটিও পাবে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।