বিনোদন ডেস্ক : নিক-প্রিয়াঙ্কার প্রাসাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে বারবার। সাজসজ্জা আর বিলাসিতায় যেন স্বপ্নের স্বর্গ। আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের সেই বিলাসবহুল বাড়ির দাম ছিল প্রায় ২ কোটি ডলার, সেই প্রাসাদকে মেরামতি করে রাজপ্রাসাদে পরিণত করেছেন এই দম্পতি। মেয়ে মালতীকে নিয়ে এখন থেকে এই বাড়িতেই থাকবেন নিক-প্রিয়াঙ্কা।
এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল বলছে, স্বপ্নের এই প্রাসাদ পুনর্নির্মাণ করতে ১৬০০ কোটি রুপি খরচ করেছেন আলোচিত এই দম্পতি। অন্দরমহল থেকে শুরু করে বাইরের বাগান, চারিদিক সবুজের সমারোহ, নান্দনিক নকশাসহ সুইমিং পুল সবকিছু যেন এক স্বর্গীয় আবেশ!
বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং আমেরিকান সংগীতশিল্পী নিক জোনাস ২০১৮ সালে রাজস্থানে রাজকীয়ভাবে বিয়ে করে লস অ্যাঞ্জেলসের সেই বিলাসবহুল প্রাসাদ কিনে ফেলেন। সেই বাড়ির ছবি একাধিকবার তারা পোস্ট করেন নিজেদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। এমন এক ঈর্ষণীয় বাংলো তবু প্রিয়াঙ্কা বলেন, ওই বাংলোয় থাকতে শুরু করার মাস কয়েকের মধ্যেই নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। থাকার অযোগ্য হয়ে ওঠে গোটা বাংলো।
একটি সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, যখন থেকে তিনি বাড়ি কিনেছিলেন পানির সমস্যা ছিল তখন থেকেই। যা নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে একাধিকবার কথাও হয়েছিল তাদের। পাইপ লিক হয়ে জল জমে যাওয়ার কারণে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশও নাকি তৈরি হয়েছিল। নষ্ট হতে বসেছিল বাড়ির অন্দরমহলের সাজসজ্জাও । যে মালিক লস অ্যাঞ্জেলসের ওই বাংলো নিক-প্রিয়াঙ্কার কাছে বিক্রি করেছিলেন তার বিরুদ্ধে মামলাও করেন এই দম্পতি। বাধ্য হয়েই লস অ্যাঞ্জেলসের সেই বিলাসবহুল বাংলো ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা।
অবশেষে এই তারকা দম্পতি বাড়িটির পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করিয়েছেন। এখন সেই অস্বাস্থ্যকর বাংলোই রাজপ্রাসাদের মতো সুন্দর ও বিলাসবহুল। ২০ হাজার বর্গ ফুটের এই রাজপ্রাসাদে রয়েছে সাতটা বেডরুম, ১১ টা স্নান ঘর। পোষ্যদের জন্য রয়েছে আলাদা ঘর ও বাথরুম । বাড়ির পেছন দিকে বিশাল সুইমিং পুল ও বারবিকিউ প্লেস। পুলের সাথে রয়েছে বিশাল বসার জায়গা। এটি নাকি প্রিয়াঙ্কার রোদ পোহানোর জায়গা। মাঝে মধ্যে এখানে বসেই প্রাতরাশও সেরে নেন বলিউডের এই নায়িকা। বাড়িতে নিজস্ব জিমও আছে তাদের।
নিকের ঘরের নাম নিকস ডেন। সংগীতশিল্পী নিক এখানে তার গান বাজনা নিয়ে থাকেন। এই ঘরেই রয়েছে বিশাল হোম থিয়েটার। প্রিয়াঙ্কার নিজস্ব রান্নাঘর আছে, আছে নিজস্ব বার, লাইব্রেরিও। মেয়ে মালতীকে প্রকৃতি আর সবুজের মাঝে খোলামেলা পরিবেশে বড় করার ইচ্ছা থেকেই শহুরে কোলাহল মুক্ত দূরে প্রকৃতির মাঝে এই প্রাসাদ তৈরি করিয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।