জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদীর মনোহরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী। ওই তরুনী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বুধবার(৬ সেপ্টেম্বর) প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানকালে ওই তরুণী জানান, প্রেমিক হিমেলের সাথে তার বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
প্রেমিক হিমেল মিয়া উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের পাসু মিয়ার ছেলে। গত রোববার থেকে ওই তরুণী হিমেলের বাড়িতে অবস্থান করছে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে প্রেমিকা বাড়িতে চলে আসার সংবাদ পেয়েই বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়ে যায় হিমেল।
তরুণী জানান, ৫ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিমেল মিয়া বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছে। গত শনিবার হিমেল তাকে জানায়, পরিবার থেকে তাকে অন্যত্র বিয়ের করানোর আলোচনা চলছে।
হিমেলের অন্যত্র বিয়ে করানোর সংবাদ শুনে তরুণী রোববার সকালে হিমেলের বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে আসার পর হিমেল পালিয়ে যায়। অন্যদিকে পরিবারও এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে এসে অবস্থান শুরু করেছেন ওই তরুণী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান ওই তরুণী।
তরুণীর বাবা জানান, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিবেশী হিমেল মিয়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করত। গত রোববার দুপুরে জানতে পারি হিমেলের বাড়িতে অবস্থান করছে আমার মেয়ে। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারি। হিমেলকে জিজ্ঞেস করলে সে সম্পর্ক অস্বীকার করে। তাছাড়া আমাকে মারপিট করারও হুমকি দেয়। পরে মনোহরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
এদিকে পলাতক থাকার কারণে হিমেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে হিমেলের বাবা পাসু মিয়া মেয়ের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনা জানতে পেরে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।