জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের নাপিতখালী সিকদার পাড়া মাহামুদুল হকের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই তরুণী। ভুক্তভোগী তরুণী শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মাহামুদুল হকের পুত্র জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে ওই তরুণীর দীর্ঘ ২ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তারা কয়েকমাস আগে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ১২ লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ করে কাবিননামা সম্পন্ন করে।
তারা আরও জানায়, হঠাৎ সকালে ওই তরুণী হাতে বিষের বোতল ও কাবিননামার কাগজ নিয়ে জাহেদের বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে অনশন করে।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, কাবিন রেজিস্ট্রেশন করে জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে আমার বিয়ে হলেও বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ঘরে তুলছে না।
তিনি আরও বলেন, জাহেদ তার চাকরির কথা বলে আমার বাবার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে এখন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে না তুললে আত্মহত্যা করব।
তবে প্রেমিক জাহেদের মা রেহেনা বেগম বলেন, বিয়ের কথা আমরা জানার পর ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিয়েছে আমার ছেলে। তাকে আমার ছেলে ঘরে তুলবে না আমরাও ঢুকতে দেব না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়সাল জানান, ঘটনাটি সত্য তবে আমি যতটুকু শুনেছি ওই মেয়েকে কয়েকমাস আগে প্রেম করে মাহামুদুল করিমের পুত্র জাহেদ বিয়ে করে। বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সাও হাতিয়ে নেয়। কিছু দিন আগে নাকি ছেলেটি ওই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়েছে।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ওই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। মেয়েটি নারী নির্যাতন কোর্টে ছেলে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সেটি এখনো চলমান। তারপরও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে মেয়েটিকে সেইফ হোমে আনার চেষ্টা করতেছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।