সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ) আসনের রাজনীতিতে এখন নতুন এক আলোড়ন যার কেন্দ্রে প্রকৌশলী রাশেল উল আলম। প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষানুরাগী এবং ‘জুলাই আন্দোলন’-এর অন্যতম সংগঠক এই তরুণ নেতার নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সম্ভাব্য সংসদ প্রার্থী হিসেবে প্রবাসে অর্জিত জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং তারুণ্যের শক্তিকে একত্রিত করে গড়ে তুলছেন “পরিবর্তনের রাজনীতি” যার ভিত্তি, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও জবাবদিহিতা।
রাশেল উল আলমের রাজনৈতিক দর্শনের কেন্দ্রে রয়েছে ‘জুলাই আন্দোলন’-এর চেতনা-যেখানে জনগণের অধিকার, স্বচ্ছতা ও তরুণদের ক্ষমতায়ন একসঙ্গে মিশে গেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি কেবল উন্নয়নের উপকরণ নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনের চালিকা শক্তি।
“আমি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে তরুণরা ডিগ্রি ছাড়াও দক্ষতার মাধ্যমে নিজের পথ তৈরি করবে। যেখানে দেশের মেধা আর বিদেশে নয় নিজ মাটিতেই সাফল্যের গল্প লিখবে,” বলেন প্রকৌশলী রাশেল উল আলম।
শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর উদ্ভাবিত ‘পিয়ার-টু-পিয়ার লার্নিং মডেল’ ইতোমধ্যে আলোচিত। এই মডেলে অভিজ্ঞ পেশাজীবীরা তরুণদের মেন্টরিং করেন যা একদিকে কর্মসংস্থান তৈরি করছে, অন্যদিকে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তুলছে।
প্রযুক্তি খাতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাশেল উল আলম প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবধান কমাতে কাজ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক কোম্পানির সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি গড়ে উঠেছে, যা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।
প্রকৌশলী রাশেল উল আলম রাজনীতিকে দেখেন সেবার মাধ্যম’ হিসেবে, ক্ষমতার নয়। তাঁর নির্বাচনী বার্তা স্পষ্ট “আমি রাজনীতি করছি উন্নয়নের জন্য, উন্নয়নের নামে কোন রাজনীতি করব না।”
স্থানীয় মানুষদের সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল জবাবদিহি ব্যবস্থা, স্থানীয় উদ্ভাবন কেন্দ্র এবং স্বচ্ছ তহবিল ব্যবস্থাপনা তাঁর নির্বাচনী পরিকল্পনার অন্যতম দিক।
সিলেট-৪ আসনের তরুণ ভোটাররা ইতিমধ্যে রাশেলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেউ তাঁকে বলছেন ‘ভবিষ্যতের প্রতিনিধি’, কেউ বলছেন ‘প্রযুক্তি ও মানবতার মিশেল’। তাঁর নেতৃত্বে একদল তরুণ ইতিমধ্যে মাঠে কাজ করছে, শিক্ষা সচেতনতা থেকে শুরু করে সামাজিক উদ্ভাবন পর্যন্ত নানা প্রকল্পে।
প্রকৌশলী রাশেল উল আলমের প্রার্থিতা সিলেট-৪-এর রাজনীতিতে এক নতুন ধারা আনতে পারে যেখানে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, প্রযুক্তির দক্ষতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ একসঙ্গে কাজ করবে। ‘জুলাই আন্দোলন’-এর অঙ্গীকার নিয়ে তিনি যে স্বপ্ন দেখছেন, তা কেবল একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নয়—বরং এক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন দর্শন, যার কেন্দ্রে আছে মানুষ, শিক্ষা ও পরিবর্তনের সাহস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



