জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুরে সমন্বয়ক পরিচয়ে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার শেওড়াতলায় জাহিদ হাসান নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক কৃষিমন্ত্রীসহ ১১৭ জনের নামে করা মামলার বাদী ও পৌর এলাকার মালাউড়ী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে জাহিদ এলাকায় এসে এক দোকানির কাছে নিজেকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেয়। এ সময় বৈদ্যুতিক শক ও মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। সন্দেহ হলে এলাকার লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার পরিচয় প্রকাশ পায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।
ওসি (তদন্ত) রাসেল আহমেদ জানান, ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে শনিবার তাকে আদলতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, জাহিদ হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দাবি করে ২৫ সেপ্টেম্বর সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুই মেয়রসহ ১১৭ জনের নাম উলেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় বিভিন্ন আসামির কাছে চাঁদা চাঁদা নিয়ে জামিন পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। মামলার ভিত্তি নিয়েও আছে ধোঁয়াশা। ৪ আগস্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, জাহিদ মামলায় যে স্থান থেকে মিছিলে যোগদান করার কথা বলেছে এবং যে স্থানে আহত হওয়ার কথা বলেছে সেটা ভিত্তিহীন। গত ৪ আগস্ট মধুপুর শহীদ স্মৃতি কলেজ ও রাণী ভবানী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি হয়।
মামলায় উলিখিত হাসপাতালের সামনে তাদের কোনো অবস্থান ছিল না। এ ছাড়া জাহিদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়েছে এমন কোনো তথ্য উপজেলা প্রশাসন, থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা আন্দোনকারীরা নিশ্চিত করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা আরও জানান, জাহিদের মামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তাদের বিব্রত করছে। তার এই কাজটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনা পরিপন্থি। সমন্বয়ক পরিচয় বা নাম ভাঙিয়ে কেউ কারও থেকে অর্থ বা অন্য কোনো সুবিধা নিতে চাইলে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করার অনুরোধও করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।