জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দফতরের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইউএনও দফতরের সামনে শহীদ মিনারে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের নেতৃত্বে এ হামলা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে।
তবে হামলা ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ।
মণিরামপুর বিএনপির দুই গ্রুপের এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবাল হোসেন। অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু। অভিযুক্ত মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ মোহাম্মদ মুছা ও আসাদুজ্জামান মিন্টুর অনুসারী।
ইউএনও অফিসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট শাহিন আলম বলেন, ‘অফিস শেষে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ইউএনও অফিসের সামনের শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে সহকর্মী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করে মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সাইফুল বলে ওঠেন, শাহিন আমার সামনে আছে। তখন মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সাইফুল আমাকে ফোন ধরিয়ে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদকে চিনি । কিন্তু তার সঙ্গে আমার কখনও কথা হয়নি। আমি ফোন ধরতেই তিনি আমাকে গালমন্দ করতে থাকেন। আমি প্রতিবাদ করলে নানা হুমকি দিয়ে তিনি আমার অবস্থান জানতে চান। আমি অফিসের সামনে থাকার কথা বললে তিনি ফোন কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ভাইকে কল করি। কথা বলা শুরু করলে দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন আমাদের কাছে আসেন। তখন তার সঙ্গে থাকা একজন আমার মাথায় থাপ্পড় মারেন। অন্য কয়েকজন ধাক্কাধাক্কি ও টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। আসাদুজ্জামান মিন্টু ভাই মোবাইলে কথা বলার পর তারা চলে যান।’
শাহিন আলম বলেন, ‘বিষয়টি তখনই ইউএনও স্যারকে বলি। তখন স্যার জেলা প্রশাসক স্যারকে জানান। পরে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।’
কেন আপনার উপর চড়াও হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ আমি বলতে পারছি না। তবে ধারণা করছি মণিরামপুরে ওএমএস-এর ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। রিয়াদ সম্ভবত ডিলার হতে ইচ্ছুক। সম্প্রতি এই বিষয়ে আমি মিন্টু ভাইয়ের (আসাদুজ্জামান মিন্টু) সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা জানাজানি হলে রাতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ইউএনও স্যারের বাসায় এসে দেখা করেন। এরপর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু ও মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ আমার কাছে এসে ভুল স্বীকার করেছেন। আমি তাদের বলেছি, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন। এই বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না বলেন, ‘উপজেলা চত্বরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে একজন সরকারি কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে। ঘটনা জানার পরপরই জেলা প্রশাসক স্যারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।