ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে প্রথম তিনেই ‘টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ’

বিনোদন ডেস্ক : ইউটিউবে সাড়া ফেলেছে আরটিভির নতুন ধারাবাহিক ‘টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ’। এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকটির তিনটি পর্ব অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়েছে, যেগুলো ইতোমধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এক, দুই ও তিন নম্বরে উঠে এসেছে।

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ তিনজুড়ে ‘টিম ওয়েষ্ট ইন্ডিজ’

এই ধারাবাহিকের গল্পের পটভূমিতে রয়েছে, বরিশালের একটি গ্রামের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠেছে দুই দল। এক দল গ্রামের স্কুল শিক্ষকের টিম, অন্যটি বড়লোক চেয়ারম্যানের দল। গত দুই বছর যাবত টানা ফাইনাল খেলেছে দল দুটি। দু’বারই স্কুল মাস্টারের দলের কাছে ফাইনালে পরাজিত হয়েছে চেয়ারম্যানের দল। আর তাই এবার চেয়ারম্যান কোনো রিক্স নিতে চান না। ফাইনালের জন্য ঢাকা থেকে প্লেয়ার কিনে আনার চিন্তা করেন তিনি। যেই কথা সেই কাজ। এলাকার একজন ক্রিকেট কোচের মাধ্যমে খোঁজ লাগায় ঢাকার ভালো ক্রিকেটারের।

কোচ ঢাকায় আন্দ্রে রাসেল নামে একজনের খোঁজ পায়। তিনি রাসেলের সঙ্গে এই খেলার বিষয়ে ডিল করেন। টাকার বিনিময়ে আন্দ্রে রাসেল ভালো ভালো ক্রিকেটার নিয়ে ফাইনাল খেলতে বরিশাল যাওয়ার জন্য রাজি হয়। ক্রিকেটার কোথায় পাওয়া যাবে আন্দ্রে রাসেল তার বন্ধু ডিজে ব্রাভোর সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। তখন তারা ক্রিস গেইলের ব্যাপারে জানতে পারে (ক্রিস গেইল একজন সাবেক ক্রিকেটার। তিনি একসময় কয়েকটা ছয় মেরেছিলো, যেগুলো দেখতে ক্রিস গেইলের মত হওয়ায় তাকে ক্রিস গেইল বলেই ডাকে সবাই। যদিও সে এখন কোনো ফর্মেই নেই)। আন্দ্রে রাসেল এবং ডিজে ব্রাভো গেইলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও একজন সাবেক ভালো খেলোয়াড়ের খোঁজ পান। তিনি সাবেক খেলোয়াড় ব্রায়ান লাড়া (ব্রায়ান এক সময় টুকটাক খেলাধুলা করলেও এখন আর কেউ তাকে টিমে নেয় না। তিনি বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন। ভ্যান, রিকশা চালিয়েই সংসার চালান)।

ব্রায়ান লাড়াকে আগেই রাসেলদের ব্যাপারে ফোন করে বলে রেখেছে ক্রিস গেইল। তাই ব্রায়ান পুরো ক্রিকেটীয় ঢঙে আছেন। এরপর রাসেলরা গিয়ে তার সঙ্গে চুক্তি করে আসেন। এদিকে ব্রায়ানের কাছ থেকে চন্দরপলের ব্যাপারে জানতে পারেন। চন্দরপল একজন হোটেল ব্যাবসায়ী। এলাকায় ছোট্ট একটা ভাতের হোটেল আছে তার। সে গেইল, ব্রায়ানের চেয়েও সিনিয়র। রাসেলরা তার সঙ্গেও যোগাযোগ করেন।

এভাবেই রাসেল, ব্রাভো, গেইল, ব্রায়ান, চন্দরপলসহ আরও ১১ জনের একটা ফুল টিম নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। লঞ্চে তাদের সঙ্গে ঘটে নানান মজার ঘটনা। সবাই মিলে প্যারা দেয় রাসেলকে। অবশেষে তারা সবাই বরিশাল পৌঁছায় এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হয়।

ফাইনালে ক্রিস গেইলসহ তাদের টিমের সবাই একে একে আউট হয়ে যায়। এবারও চেয়ারম্যানের দল হেরে যায়। চেয়ারম্যান তখন সবাইকে আটকায় এবং জানতে পারে তারা ভুয়া ক্রিকেটার। তাদের কেউই খেলার সঙ্গে যুক্ত নন।

পরবর্তীতে ঢাকায় ফেরার পথে তারা প্ল্যান করে নিজেরা একটা ক্লাব তৈরি করবেন। ঢাকায় ফিরে তারা একটি মাঠ রেডি করেন। তারপর ক্লাবে কিছু ছেলেদের যুক্ত করেন, যারা সত্যিকার অর্থেই ভালো খেলেন। ক্লাবের কার্যক্রম বেশ ভালোই চলছিলো। নিয়মিত প্র্যাকটিস করছিলেন সবাই। অনেকদিন পর একটি বড় রকমের ফাইনাল খেলার ট্রিপ পান তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই ম্যাচেও হেরে যান তারা। এরপর ক্রিস গেইল, ব্রায়ান লারা, চন্দরপল খেলা থেকে অবসর নেন। তারা ক্লাবের দায়িত্ব নিতে চান এবং ক্লাব থেকে ভালো খেলোয়াড় তৈরির ওয়াদা করেন। তাদের সেই ক্লাবের নাম ‘টিম ওয়েষ্ট ইন্ডিজ’ পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলার বাঘ’।

পোশাক খুলে ড্যান্স দেবার অভিযোগে কাঠগড়ায় পুনম পাণ্ডে

মাইদুল রাকিবের গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নাটকটির সংলাপ লিখেছেন সিফাত হোসেন। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মারজুক রাসেল, চাষী আলম, অনীক, সামিরা খান মাহী, হাসান মাসুদ, ওলিউর রহমান প্রমুখ। প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আরটিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছে ‘টিম ওয়েস্ট ইন্ডিজ’। পরবর্তীতে আরটিভি ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ধারাবাহিক ‘টিম ওয়েষ্ট ইন্ডিজ’।