জয়নুল হক সিকদারের ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ দিল আদালত

জুমবাংলা ডেস্ক : দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত জয়নুল হক সিকদার-এর মালিকানাধীন ১০০ একর জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

পূর্বাচলের ১০০ একর জমি জব্দ

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান এই জমি জব্দের আবেদন করেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে মঞ্জুর হয়।

জমিগুলো ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত বলে জানা গেছে। দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সম্পদ জব্দ করে রাখা জরুরি বলে আদালত মনে করেন।

দুদকের তদন্তের পেছনের গল্প

দুদক জানিয়েছে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে জনগণের আমানত লুট, নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন, ঘুষের মাধ্যমে বিধিবহির্ভূত ঋণ প্রদান এবং মানিলন্ডারিংয়ের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

এই অভিযোগের অংশ হিসেবে তাদের সম্পদের উৎস ও বৈধতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। তদন্ত চলাকালে এসব সম্পদ যাতে স্থানান্তর বা লোপাট না করা হয়, সে জন্যই আদালতে জব্দের আবেদন জানানো হয়েছিল।

সিকদার পরিবারের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগ

জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও আর্থিক অনিয়ম ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছিল। তবে এই প্রথমবার এত বড় আকারে জমি জব্দের ঘটনা ঘটল, যা জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

১. কোথায় অবস্থিত জমিগুলো?

ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত ১০০ একর জমি জব্দ করা হয়েছে।

২. কেন জমিগুলো জব্দ করা হয়েছে?

দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলাকালে জমি জব্দ করা হয়েছে যাতে সেগুলো স্থানান্তর বা লোপাট না হয়।

৩. কে এই আদেশ দিয়েছেন?

ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

৪. কোন প্রতিষ্ঠান এই আবেদন করেছে?

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান আদালতে এই আবেদন করেন।

এটিএম আজহারের আপিল শুনানি কার্যতালিকায় আসবে কাল

৫. অভিযোগ কী ধরনের?

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনগণের অর্থ আত্মসাৎ, নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন, ঘুষ নিয়ে ঋণ অনুমোদন এবং মানিলন্ডারিং।