জুমবাংলা ডেস্ক : ঘনিয়ে আসছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন। ফেব্রুয়ারিতে তফসিল, এর কয়েকদিন পরই ভোট। তার আগে প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত চলচ্চিত্রের শিল্পীরা। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মিশা সওদাগর জানিয়ে দিলেন, তিনি এবার জায়েদ খানের সঙ্গে নির্বাচন করবেন না।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুইবারের সভাপতি তুখোড় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। তার সঙ্গে দুই মেয়াদেই সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
তবে ২০২২-২৪ নির্বাচনে মিশা-জায়েদ দুজনকেই দায়িত্ব ছাড়তে হয়। ভোটে জিতে সমিতির সভাপতি পদে বসেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ খ্যাত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এবং ভোটে হেরেও উচ্চ আদালতের রায়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের প্যানেল গোছাচ্ছে নিপুণ। তার বিপক্ষে প্যানেল দিতে চলেছেন অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ধারণা করা হচ্ছে, ডিপজলের প্যানেল থেকে এবার নির্বাচন করতে পারেন মিশা সওদাগর। তবে সেই প্যানেলে জায়েদ খানের থাকা চলবে না।
মঙ্গলবার দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন মিশা সওদাগর। এ সময় জায়েদ খানকে নিয়ে নির্বাচন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জায়েদ খান আমার ছোট ভাই। তার সঙ্গে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই, নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমি যদি নির্বাচন করি তাহলে নতুন কারও সঙ্গে করব।’
অভিনেতা সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমি সলিড লোক, সলিড কথা বলতেই পছন্দ করি। তাই বলব, জায়েদ খানের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা আমার নেই।’ মিশা মনে করেন, ‘জায়েদ খান এখন অনেক ব্যস্ত। ওর হাতে এখন অনেক কাজ। তাই ওর রেস্ট নেওয়া উচিত।’
শিল্পী সমিতি বর্তমানে যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে তার চেয়েও ভালো অবস্থানে নেওয়া যায় বলে দাবি করেন মিশা সওদাগর।
তার কথায়, ‘সমিতির বর্তমান কমিটি কী করেছে সে আলোচনা-সমালোচনাতে যেতে চাই না। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আমার বড় ভাই আর নিপুণ আমার ছোট বোন। তাদের ছোট করতে চাই না। যা সম্ভব হয়েছে তারা তাদের মত দায়িত্ব পালন করেছে। ভালো-খারাপ বলার মালিক সমিতির সদস্যরা। অনেকের সঙ্গে আমার কথাও হয়, সেই প্রেক্ষিতে বলছি- এর থেকে আরও বেটার পদক্ষেপ নেওয়ার অনেক জায়গা ছিল।’
২০১১ সালে প্রথমবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেন মিশা সওদাগর। সে বার তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার প্যানেল থেকে সভাপতি হয়েছিলেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছর দায়িত্ব পালন করেছিল এই কমিটি।
এর পরের নির্বাচনে অংশ নেননি মিশা সওদাগর। দুই বছর বাদে ২০১৭ সালে সভাপতি পদে নির্বাচন করেন এই খল অভিনেতা। জিতেও যান। তার প্যানেলে থেকে সাধারণ সম্পাদক হন জায়েদ খান। এরপর ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন মিশা ও জায়েদ।
তবে ২০২২ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে হেরে যান মিশা সওদাগর। অন্যদিকে, ভোটে জিতেও নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল হয় জায়েদ খানের। ফলে ভোটে হেরেও সাধারণ সম্পাদক হন নিপুণ। এখনো দায়িত্বে আছে কাঞ্চন-নিপুণদের কমিটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।