বিনোদন ডেস্ক : জায়েদ খান সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারকালে বলেন, ‘আমি সবার ট্রল মেনে নিই। কারণ সবাই সবার সময় ও টাকা খরচ করছে আমাকে দেখে। সময়টাই আসলে এমন।’
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমার কোনো বাজে অভ্যাস কিংবা নেশা নেই। তবে আমার শখ হলো ফ্যাশন করা। ভালো ভালো পোশাক, জুতা, ঘড়ি, পারফিউম এগুলোর পেছনেই আমার টাকা খরচ হয়।’
সম্প্রতি একটি অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে যেখানে শোনা যাচ্ছিল, জায়েদ খানকে ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ফোন করেছেন তার ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দেয়ার জন্য। কিন্তু জায়েদের শিডিউল না থাকার কারণে তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। কারও তৈরি করা অডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এই কল রেকর্ড নিয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘দেখেন মুকেশ আম্বানির সঙ্গে তৈরিকৃত অডিওটি মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। মানুষতো শুনছে। সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে আলোচনায় না থাকলে হারিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একজনই নায়ক ছিলেন যাকে পর্দায় দেখলে ভক্তরা পয়সা ছুড়ে মারতো। কই তাকে তো কেউ মনে রাখেনি। নায়ক অসীম পর্দায় তুমুল জনপ্রিয় হলেও তার জন্ম, মৃত্যু তেমন কারও জানা নেই কারণ তিনি এফডিসিতে আসতেন কারও সঙ্গে তেমন কথা বার্তা বলতেন না। তিনি কিন্তু হারিয়ে গেছেন।’
উল্লেখ্য, জায়েদ খান ২০০৮ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ঢালিউডে তার কর্মজীবন শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন মহম্মদ হান্নান। এ সিনেমায় তার সঙ্গে অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনূর। পরে ২০০৯ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কাজের মানুষ’ ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘মন ছুঁয়েছে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত এফ আই মানিক পরিচালিত ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মায়ের চোখ’ ও ‘রিকশাওয়ালার ছেলে’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।