বিনোদন ডেস্ক : ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করতে এসে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এমন অভিযোগ অভিনেত্রী নিজেই করেছিলেন। মনিরুল ইসলামের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ছায়াবাজ’-এর শুটিং করছিলেন নায়িকা।
ছবিতে অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিনেত্রী। এবার অভিনেত্রীর সঙ্গে নায়ক জায়েদ খানের সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ ‘ছায়াবাজ’ ছবির প্রযোজকের।
দীর্ঘদিন ধরে রুপোলি পর্দা থেকে দূরে সায়ন্তিকা। রাজনীতির ময়দানেই সাম্প্রতিক অতীতে অভিনেত্রীকে বেশি দেখা গিয়েছে। গত মাসের শেষে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে শ্যুটিং করতে বাংলাদেশে আসেন সায়ন্তিকা। জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথমবার বাংলাদেশের ছবিতে কলকাতার সায়ন্তিকা। সেই নিয়ে দুই বাংলার মিডিয়াতেই ফলাও করে কভারেজ করা হয়। কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে শ্যুটিং করবেন সায়ন্তিকা। কিন্তু তা না করেই গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে আসেন অভিনেত্রী। সেই নিয়ে হইচই কাণ্ড।
সায়ন্তিকার অভিয়োগ কোরিওগ্রাফার মাইকেল হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। প্রযোজক মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষুব্ধও নায়িকা। সায়ন্তিকার অভিযোগ ‘গায়ে হাত দিয়ে নাচের স্টেপ বোঝানোর চেষ্টা করছিল মাইকেল। আমি পালটা মুখে বলে নাচের স্টেপ বোঝাতে বলি। সেটা নিয়ে ঝামেলা হলে প্রযোজকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হইনি। ’ গোটা ঘটনায় সায়ন্তিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। এবার নায়িকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ছায়াবাজ’ ছবির প্রযোজকের।
সায়ন্তিকা ও জায়েদ খানকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন প্রযোজক। প্রযোজক বলেন, ‘নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর ডিরেকশনে গানের শ্যুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। পরে আর দিনের আলো না থাকায় ওইদিন শ্যুট করা হয়নি। ড্রেস চেঞ্জ করতে ৪ ঘণ্টা সময় লাগে? এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শ্যুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। ’
তবে প্রযোজক মনিরুল ইসলামের এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান। ফের একবার প্রযোজকের বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ আনলেন নায়ক।
তিনি জানান, ‘দেখছি আমাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এটি বাজে প্রচেষ্টা। আমি শুনে অবাকই হয়েছি। ’
নায়ক বলেন, কস্টিউমের সমস্যা রয়েছে। আমি নিজে কিছু ড্রেস ম্যাচিং করে নিয়ে এসেছি। এগুলো আমার কাজ নয়। তবুও সিনেমার সার্থে আমি এসব করেছি। ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়ে যদি ড্রেস না পাওয়া যায় এবং তার বিকল্প কী হতে পারে এসব ঠিক করবে কে?’
ওই দিন শ্যুটিং ফ্লোরে যেতে কেন ৪ ঘন্টা সময় লেগে যায় সায়ন্তিকার? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান জানান, ওইদিন সায়ন্তিকাকে পারিশ্রমিক পাঠানোর কথা থাকলেও সময়মতো প্রযোজক পেমেন্ট পাঠাননি। সেটাই দেরি হওয়ার মূল কারণ।
নায়ক-নায়িকা বনাম প্রযোজকের এই দ্বন্দ্বের জেরে আপতত ‘ছায়াবাজ’ ছবির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যদিও কলকাতায় গিয়ে সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, ছবির স্বার্থে সমস্যা মিটিয়ে কাজে ফিরতে রাজি তিনি, কিন্তু ঠিকঠাক প্রস্তুতি থাকলে এবং পেশাদার মনোভাব নিয়ে কাজ করা হলে তবেই কাজ করবেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।