আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে এক করেছে কার্চ প্রণালীর ওপর নির্মিত সেতুটি। অভিযোগ রয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর কাছে সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ পৌঁছে দিতে এই সেতু ব্যবহার করছে মস্কো। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আক্রমণের জন্য ক্রিমিয়া সেতুটি রাশিয়ার লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে। সুতরাং যেভাবেই হোক এটিকে নিরপেক্ষে করা উচিত।’
অ্যাস্পেন সিকিউরিটি ফোরামে শুক্রবার ভিডিও বার্তায় যুক্ত হয়ে জেলেনস্কি বলেন, ক্রিমিয়া সেতুটি কেবল কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক না। যুদ্ধের জন্য গোলাবারুদ আনা নেওয়ার কাজে প্রতিদিনই ব্যবহার করছে রাশিয়া।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেনের কাছ থেকে জোর করে দখলে নেয় পুতিনের বাহিনী। এই দীর্ঘ সেতু দিয়ে রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ায় সহজেই যাতায়াত করা যায়। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর ক্রিমিয়াকে যেকোনও মূল্যে কিয়েভের অংশ করে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি।
সম্প্রতি সেতুটি লক্ষ্য করে দুই বার বড় ধরনের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ঘটনায় জেলেনস্কির সরকারকে দায়ী করছে ক্রেমলিন।
সব আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে সেতুটি তৈরি করা হয়েছে এবং শত্রুদের একটি সুবিধাজনক মাধ্যম উল্লেখ করে মস্কোর সমালোচনা করেন তিনি। পুরো ক্রিমিয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে হবে ভাষণে পুনর্ব্যক্ত করে জেলেনস্কি বলেছেন, এটি আমাদের ভূখণ্ড, আমাদের জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ক্রিমিয়া সেতুর একাংশে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেনে। ওই হামলায় দুইজন নিহত এবং আরও একজন আহত হন।
কার্চ প্রণালীতে নির্মিত এই ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি রাশিয়া ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপের মধ্যে একমাত্র সরাসরি পরিবহন সংযোগ। ২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এই সেতুটি। ব্যাপক আয়োজনে ২০১৮ সালে তিনি এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন। ওই সময় নিজেই গাড়ি চালিয়ে সেতু পার হন তিনি।
এতে পৃথক সড়কপথ ও রেলপথ রয়েছে। সেতুর নিচ দিয়ে কৃষ্ণ সাগর ও ছোট আজভ সাগরের জাহাজ চলাচল করে। ক্রিমিয়ায় জ্বালানি, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য সরবরাহের জন্য এই সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহর মোতায়েন রয়েছে। সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।