জুমবাংলা ডেস্ক : দাবার কোনো প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান অংশ নিলেই কক্ষের বাইরে দেখা যেত এক চেনা দৃশ্য। অকাল প্রয়াত জিয়াকে সমর্থন দিতে উপস্থিত থাকতেন স্ত্রী তাসনিম সুলতানা লাবণ্য আর ছেলে তাহসিন তাজওয়ার। বাবাকে দেখে দাবাড়ু হয়েছিলেন জিয়া। পরে তার ছেলে তাহসিনও বাবা-দাদার পথে হাঁটছেন। স্ত্রী লাবণ্য একসময় দাবা খেলতেন। এমনকী তিনি বিসিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েও যোগ দেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী লাবণ্য ২০০২ সালে ২২তম বিসিএসে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৪তম ও নারীদের মধ্যে ২য় হয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকায় পোস্টিং না হওয়ায় তিনি চাকরিতে যোগ দেননি। চাকরিতে যোগ দিলে লাবণ্যের ক্যারিয়ারও এখন অন্যরকম হতে পারত। ২০১০ সালে জাতীয় মহিলা দাবার বাছাইয়ে অংশ নেওয়া লাবণ্য খেলাটিও পরে চালিয়ে যাননি। পরিবার নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে লাবণ্য বলেছিলেন, “আমার প্রথম পোস্টিং ছিল ঢাকার বাইরে। আমি বাইরে গেলে জিয়ার খেলায় ব্যাঘাত ঘটবে। জিয়া তখন (২০০২ সালে) মাত্র গ্র্যান্ডমাস্টার হলো। দাবা ও জিয়ার কথা ভেবে আর বিসিএসে যোগ দেইনি। পেশাগত জীবনে গেলে হয়তো আমিও ওই জায়গায় পৌছাতাম এতদিনে। অর্থ, ক্ষমতা আরও অনেক কিছুই হয়তো থাকতো কিন্তু এখন পরিবার নিয়ে বেশ তৃপ্ত আছি, সেটা নাও হতে পারতো।”
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া গতকাল শুক্রবার দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুবরণ করেন। এসময় পাশের টেবিলে ছেলে তাহসিনও খেলছিলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিলের বিপক্ষে। স্ত্রী-সন্তান পাশে থাকলে জিয়া বাড়তি উৎসাহ পেতেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “পরিবারই আমার অনুপ্রেরণা এ জন্য ওদের সব সময় কাছে রাখি। শুধু দেশে নয়, বিদেশের সফরগুলোতেও ওদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।