আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়াসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সোমবার মার্কিন সরকার বলেছে, জিম্বাবুয়ের নেতারা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনগণের সম্পদ ‘লুট’ করেছে।
এই পদক্ষেপটি ২০০৩ সালে দেওয়া পুরোনো নির্বাহী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাতিল করে এবং ১১ ব্যক্তি ও তিনটি সংস্থাকে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি নিষেধাজ্ঞা প্রোগ্রামের তালিকায় ফেলে৷
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই অবৈধ কার্যকলাপগুলো ঘুষ, চোরাচালান এবং অর্থপাচারের বিশ্বব্যাপী অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে সমর্থন করে এবং অবদান রাখে যা জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে সম্প্রদায়কে দরিদ্র করে তোলে।”
যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক সমাজকে টার্গেট করা এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে।
সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট মানাঙ্গাগওয়া, ভাইস-প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিভেনগা এবং ব্যবসায়ী কুদাকওয়াশে তাগওয়ারেইকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মানাঙ্গাগওয়ার স্ত্রী অক্সিলিয়া মানাঙ্গাগওয়াও নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছেন। কারণ তিনি তার স্বামীর দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপে সহায়তা করেন।
মার্কিন সরকার বলেছে যে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী কিছু ব্যক্তি এবং কোম্পানির জঘন্য আচরণ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং দুর্নীতিবাজদের কর্মের সঙ্গে মিলে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করেছে যে ‘এসব ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জিম্বাবুয়ে বা এর জনসাধারণের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিনিধিত্ব করে না।
রাজামৌলির সিনেমার জন্য ১৬৪ কোটি টাকা ছাড়াও লভ্যাংশ নেবেন মহেশ
জিম্বাবুয়ের সরকার সর্বশেষ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার পশ্চিমা চক্রান্তের অংশ হিসেবে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞাগুলোকে খারিজ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।