আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের ঝামিনি দ্বীপের দখল নিয়ে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এ দ্বীপটি স্নেক আইল্যান্ড নামে পরিচিত।
এই স্নেক আইল্যান্ডে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযানের শুরুতে হামলা করে রাশিয়ার নৌ বাহিনী। তারা সেখানে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে ইউক্রেনীয় সেনারা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
তবে বর্তমানে এই দ্বীপের দখল আছে রুশ বাহিনীর হাতে। কিন্তু এটির ওপর তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে পারেনি। এখনো সেখানে থাকা রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী।
‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রেটেজিক স্টাডিস থিংক ট্যাংকের’ নৌ বিশেষজ্ঞ জোনাথান বেনথাম গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, যদি রাশিয়া ৬৬৩ মাইল প্রস্থের এ দ্বীপটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে তাহলে তা হবে রুশ বাহিনীর জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ধরা যাক যদি রাশিয়া এই দ্বীপে এস-৪০০ মিসাইল ব্যবস্থা নিয়ে যেতে পারে তাহলে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকে দূর পাল্লার মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করতে পারবে।
নৌ বিশেষজ্ঞ জোনাথান বেনথাম বলেছেন, এটি রাশিয়াকে হামলা ও রক্ষণাত্বক শক্তি দেবে। এর মাধ্যমে রাশিয়া বিমান হামলার বিষয় আগেই ধরে ফেলতে পারবে এবং ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর বিশেষ করে ওডেসার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে।
কিন্তু জোনাথান বেনথাম সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, দ্বীপটি অনেক ছোট হওয়ার কারণে সেখানে পুনরায় রশদ নেওয়ার বিষয়টি অনেক জটিল ব্যাপার।
তিনি আরও বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইউক্রেন বা রাশিয়া যে কেউ সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়ে যেতে পারবে ততক্ষণ এর নিয়ন্ত্রণ অদল বদল হতে থাকবে।
সূত্র: বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।