জুমের পাকা ধানের গন্ধ ছড়াচ্ছে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদে। সবুজ পাহাড়ে এখন সোনালী রং লেগেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধান কেটে ঘরে তোলায় ব্যস্ত চাষিরা।
অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে ধানের পাশাপাশি জুমের অন্য ফসল যেমন- হলুদ, আদা এবং মারফার ভালো ফলন হওয়ায় চাষিদের মধ্যে খুশির আবহ বিরাজ করছে। তারা জানান, অন্য বছরগুলোর চেয়ে এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে জুম আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছর থেকে ২৬ হেক্টর বেশি। গত বছর ধান উৎপাদন হয়েছিল ১ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮ মেট্রিক টন। যা গত বছর থেকে ৮ মেট্রিক টন বেশি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী চাষবাদ পদ্ধতি ‘জুমচাষ’। পাহাড়ের ঢালু জমিতে ধান, ভুট্টা, তিল, আদা-হলুদ, মারফাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের আবাদ করেন জুমিয়ারা। এখন তারা জুমের ধান কাটতে শুরু করেছেন।
খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের মিলন কারবারী পাড়া গ্রামের হতেন্দ্র ত্রিপুরা, মলেন্দ্র ত্রিপুরা এবং বোরোফা এলাকার বাবুধন ত্রিপুরা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর জুমের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের সঙ্গে সাথি ফসলসমূহের ফলনও হয়েছে ভালো। উৎপাদন ভালো হওয়ায় খুশি তারা।
তারা আরো জানান, যারা সারসহ বিভিন্ন কীটনাশক দিতে পেরেছেন তাদের জুম ভালো হয়েছে। যারা দিতে পারেননি তাদের ফসল খুব একটা ভালো হয়নি।
জুম চাষে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জুম চাষিরা। তারা জানান, সমতলের কৃষকরা যে পরিমাণ সুযোগ ও পরামর্শ পান পাহাড়ি কৃষকরা তার কিছুই পান না। কৃষি বিভাগের তদারকি বা পরামর্শ পেলে ফলন আরো ভালো হতো এমনটি মনে করছেন তারা।
খাগড়াছড়ি কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বাশিরুল আলম জানান, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রধানতম দায়িত্ব কৃষকদের পাশে থাকা। সমতলের কৃষকদের মতো জুম চাষিদেরও পরামর্শ ও সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহায়তা করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।