আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত সপ্তাহে আরেকটি আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের মুখোমুখি হয়েছে আইসল্যান্ড। গত ডিসেম্বরের পর থেকে এটি তৃতীয় অগ্ন্যুৎপাত। ফলে প্রশ্ন উঠেছে আইসল্যান্ড কি আরেকটি আগ্নেয়গিরির যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে?
বৃহস্পতিবার আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে ওঠে। রেইকজানেস উপত্যকার গ্রিন্ডাভিক শহরের উত্তরে একটি উপত্যকায় অগ্ন্যুৎপাত ঘটে বলে জানিয়েছে সেখানকার আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প হয়। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। যে অংশে ফাটল ধরে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে, সেটি প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। গত ১৮ ডিসেম্বর যেখানে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল, এবারো সে অংশ থেকেই লাভা বের হয়ে আসছে। চলতি বছরের প্রথম অগ্ন্যুৎপাত হয় ১৪ জানুয়ারি। পরে তা দুই দিন ধরে চলে। সে সময় প্রায় চার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
সাম্প্রতিক কালে দেশটি এমন ঘন ঘন আগ্নেয়গিরির মুখোমুখি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কী হতে চলেছে দেশটিতে। আইসল্যান্ডবাসীর কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়। ভূপ্রকৃতিগত কারণেই দেশটি ভূমিকম্প ও এর ফলে সৃষ্ট অগ্ন্যুৎপাতের হটস্পট। দেশজুড়ে শতাধিক আগ্নেয়গিরি আছে। এর মধ্যে ৩০টি সক্রিয়।
তবে রেইকজানেস উপত্যকা গত সপ্তাহে যে পরিমাণ লাভাস্রোত দেখেছে তা আগে দেখা গিয়েছিল প্রায় ৮০০ বছর আগে ১২৪০ সালে। এতদিন পর আবার ঠিক কী কারণে এমন লাভা বের হচ্ছে তা ভাবিয়ে তুলছে বিজ্ঞানীদের।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূবিজ্ঞানের অধ্যাপক তামসিন মাথেল বলছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টেকটোনিক প্লেটগুলো দূরে সরে যাচ্ছে। যার ফলাফল আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি রেইকজানেস উপত্যকায়। তার মতে, এটা আসলে হওয়ারই কথা ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে সামনের বছর ও দশকগুলোয় ছোট, স্বল্পস্থায়ী অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে এমন অগ্ন্যুৎপাত হতেই থাকলে তা আইসল্যান্ডের জন্য বড় শঙ্কার বিষয়। ইউনিভার্সিটি অব লিডসের আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞ ড. এভজেনিয়া ইলিয়নস্কা বলছিলেন, রেইকজানেস উপত্যকা দেশটির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। এমনকি সব অবকাঠামোও এখানে। যা আইসল্যান্ডের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে যদি সত্যি সিরিজ অগ্ন্যুৎপাতের যুগ শুরু হয় তাহলে আইসল্যান্ডের সামনের ভবিষ্যৎ খুবই অনিশ্চিত। খবর বিবিসি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।