জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের ছাতকে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক আল আমিনকে (২৬) পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্তের বাবা তাকে ধরে নিয়ে থানায় সোপর্দ করেন। এর আগে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হুসিয়ার আলীর ছেলে আল আমিন (২৬)। বর্তমানে তিনি ঝাওয়ারখাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী জানায়, গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন তিনি। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ভুক্তভোগী শুক্রবার গাজীপুর থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসযোগে সিলেটে আসেন। এরপর সিলেটের বন্দরবাজার থেকে লেগুনাযোগে গোবিন্দগঞ্জ নামেন রাত ৯টার দিকে। এ সময় হাসনাবাদ এলাকায় যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশাতে ওঠে ভুক্তভোগী। ওই অটোরিকশাতে আরও তিনজন পুরুষ যাত্রী ছিল। পরে রাত প্রায় ১০টার সময় সুফিনগর ও আশপাশ এলাকায় তিনজন যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে যান।
এদিকে ঝাওয়ার খাড়া সেতু পার হলে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণচেষ্টা করে। এ সময় চালকের হাত থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী পালিয়ে যান। পরে গোবিন্দগঞ্জগামী অপর সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীরা তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নম্বরবিহীন মিনহা-তানহা পরিবহন নামের অটোরিকশাসহ তরুণীকে উদ্ধার করেন। এর আগেই চালক তার গাড়িটি রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, আসামি আল আমিনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুসিয়ার আলী নিজেই তার ছেলেকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। শনিবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।