জুমবাংলা ডেস্ক: পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) থেকে অতিরিক্ত আইজিপি, গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন সাতজন কর্মকর্তা। তারা বাংলাদেশ পুলিশের ১২তম ও ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এদের মধ্যে রয়েছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) মনিরুল ইসলাম।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়।
১২তম ব্যাচের পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন- পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার ও কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রধান ডিআইজি ড. হাসান উল হায়দার।
১৫তম ব্যাচের পদোন্নতিপ্রাপ্তরা হলেন- অতিরিক্ত আইজিপির চলতি দায়িত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) মো. শাহাবুদ্দিন খান, শিল্প পুলিশের প্রধান ডিআইজি মাহবুবুর রহমান ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।
এর আগে গেল বছরের ১৭ মে চারজন ডিআইজিকে অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য বলছে, অতিরিক্ত আইজিপি পদে আটটি শূন্য পদের মধ্যে সাতটি পূরণ হলো।
যেভাবে নতুন পদ সৃষ্টি
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে ১৭৮টি পদের বিপরীতে পাঁচটি শর্তসাপেক্ষে বেতন গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রণালয় এই সম্মতি দেয়। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের ১ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে পদগুলো মঞ্জুর করে।
এর আগে মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নেতৃত্ব সুদৃঢ় করতে পুলিশের কাঠামোতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পুলিশ। সেখানে অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে পুলিশের বিদ্যমান জনবল কাঠামোতে পরিবর্তন এনে নিম্নপর্যায়ের ক্যাডার পদের সংখ্যা কমিয়ে তার পরিবর্তে বাড়তি উচ্চপদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়।
সেখানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাংগঠনিক কাঠামোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে ২০টি এসপি ও ১৫৮টি এএসপি এবং ৪৮টি অ্যাডিশনাল এসপিসহ সর্বমোট ১৭৮টি পদ বিলুপ্ত করে চারটি অ্যাডিশনাল আইজি, ১৮টি ডিআইজি, ৮৮টি অ্যাডিশনাল ডিআইজি, ২০টি এসপি এবং ৪৮টি অ্যাডিশনাল এসপিসহ মোট ১৭৮টি ক্যাডার পদের প্রস্তাবনা করা হয়।
অতিরিক্ত আইজিপি হতে যেসব শর্ত
পুলিশের ১৭৮টি নতুন পদের গ্রেড ও বেতন নির্ধারণ করে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মতির পর সেসময় গ্রেডসহ বেশকিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়। এতে অতিরিক্ত আইজিপির চারটি পদ ২য় গ্রেডে।
তবে শর্তে বলা হয়, ডিআইজি পদে তিন বছরের এবং নবম গ্রেড বা তার ওপরের গ্রেডে ১৭ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই পদে বেতন স্কেল সর্বনিম্ন ৬৬ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।