লাইফস্টাইল ডেস্ক : উজ্জ্বল লাল এবং রসালো টমেটো যেকোনো রান্নার খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও অনেকে টমেটোকে একটি সবজি বলে মনে করেন। উদ্ভিদগতভাবে টমেটো বীজসহ একটি টঞ্জি ফল।
সাধারণত আমরা কোনো ফ্রাই খাবার খেলেই সাঙ্গে নিয়ে নেই এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ। এতেই যেন স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। এছাড়া অন্যান্য সবজির মতো টমেটোরও পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে এটি খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই স্বাস্থ্যের বারোটা বেজে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে। এছাড়া খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। তবে আপনি জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে; যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। চলুন জেনে নিই টমেটো বেশি খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে-
কিডনিতে পাথর
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম এবং অক্সালেট, যা প্রায়শই হজম হয় না এবং শরীর থেকে সহজে বের করে দেয় না। এই খনিজগুলো জমা হয় এবং এটি কিডনিতে পাথর তৈরি করতে শুরু করে।
অম্লতা
টমেটোতে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। সুতরাং টমেটো বেশি পরিমাণে খেলে অম্বল এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে। যদি আপনি প্রায়ই অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) তে ভুগে থাকেন তবে আপনাকে টমেটো খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
জয়েন্টে ব্যথা
অতিরিক্ত টমেটো খেলে জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতেও পারে। টমেটোতে থাকা সোলানাইন নামক একটি ক্ষারক উপাদান থাকে, এটি বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। আর এ এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।
ত্বকের বিবর্ণতা
যদিও ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদরা একইভাবে টমেটোর ত্বকের উপকারিতাকে প্রশংসা করেন, তবে এগুলো খুব বেশি খাওয়া আপনার ত্বকের জন্য ভালো নাও হতে পারে। টমেটো বেশি খাওয়ার ফলে লাইকোপেনোডার্মিয়া হতে পারে, রক্তে অতিরিক্ত লাইকোপিনের কারণে সৃষ্ট একটি অবস্থা। এটি আপনার ত্বককে নিস্তেজ করে দেয়। মনে রাখবেন, টমেটোতে লাইকোপেন একটি ভাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তবে এর পরিমাণ প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত।
অ্যালার্জি
টমেটোতে থাকা হিস্টামিন নামক একটি যৌগ আছে; যা থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলো যেমন: ত্বকে ফুসকুড়ি, কাশি, হাঁচি এবং গলায় চুলকানি এটি খাওয়ার পরেই দৃশ্যমান হতে পারে। এছাড়া যাদের টমেটোতে অ্যালার্জি আছে, তারা টমেটোর ধারে কাছেও যাবেন না।
সূত্র: হেলথ শটস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।