জুমবাংলা ডেস্ক: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর অত্যন্ত সফল ও সন্তোষজনক হয়েছে এবং দুই দেশের সরকার তা ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে বিএনপির এতে মন খারাপ হয়েছে। সে কারণে উনারা এখন আবোল-তাবোল বকছেন।’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরে অনেকগুলো চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহার করে বিনা শুল্কে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ। এটির জন্য আমরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘এতদিন ধরে ভারতের স্থলভাগ ব্যবহারের বিষয়ে যে বাধা ছিল তা দূরীভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সাথে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করতে পারবে। এটি একটি বড় অর্জন।’
‘আমাদের সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনাই ভারতের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে আমরা ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা আদায় করেছি। চুক্তি হওয়ার ৪০ বছর পরও আমাদের ছিটমহলের যে দাবি আদায় হচ্ছিল না, সেটি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ২০টি পণ্য ছাড়া বাংলাদেশের সকল পণ্য রপ্তানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেগুলো অন্য কেউ আদায় করতে পারেনি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি নিয়েও আমাদের পক্ষে যে চুক্তি হয়েছে সেটি একটি বড় অর্জন।
তিস্তা নদীর পানিবন্টন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ধরণের আপত্তি নেই। কিন্তু ভারতের বিধি-বিধান অনুযায়ী সেখানে রাজ্য সরকারের একটি অনুমোদন লাগে। রাজ্যের পক্ষ থেকে যেহেতু আপত্তি আছে সে কারণে এটি এতোদিন ধরে এগোয়নি, তবে এটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি নিশ্চয়ই খুব শীঘ্রই এটির সমাধান হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আর কেন এতো ভালো সফর হলো সেজন্য বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেবদের মন খুবই খারাপ। উনাদের কাজ তো বিভ্রান্তি ছড়ানো। সেটি নিয়েই তারা ব্যস্ত আছেন। অথচ ভারতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া গঙ্গার পানির হিস্যার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলেন, যেটি তিনি নিজেই ব্যক্ত করেছিলেন, সেই ভিডিও ফুটেজ এখনো আমার কাছে আছে, আপনাদের কাছেও আছে। যে দলের নেত্রী ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের পানির হিস্যার কথা ভুলে যায় তারা আবার এগুলো নিয়ে কথা বলে কোন মুখে!’
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যান উপ-কমিটি আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাবের বাগানে একটি ডালিম গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও উদ্যান উপকমিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন, রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তাদের এ উদ্যোগ দেশের মানুষকে উৎসাহিত করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।