Close Menu
iNews
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
iNews
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
iNews
Home অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাবাকে ফোন দিয়েছিলো আনুশকা
জাতীয়

অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাবাকে ফোন দিয়েছিলো আনুশকা

By Saiful IslamJanuary 12, 20215 Mins Read
Advertisement


মো. ফরহাদ উজজামান : ‘আমার মেয়ে খুব শান্ত স্বভাবের। স্কুল এবং বাসা ছাড়া তেমন বের হতো না। সে কারো বাসায় এভাবে চলে যাবে এতোটা সাহস তার ছিলো না। দিহান আমার মেয়েকে ট্র্যাপে ফেলে জোর করে বাসায় নিয়েছে। ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু মিশিয়েছিলো। ওদের (দিহান ও তার বন্ধুদের) অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যই হয়তো সেদিন দুপুরে (১২টা ১৮ মিনিটে) আনুশকা আমাকে কল দিয়েছিলো। ওইদিনের ফোনটা ধরলে হয়তো আমার মেয়ের এমন পরিণতি হতো না; এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল।’

সোমবার দুপুরের নিজ বাসায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা গুলো বলছিলেন আনুশকার বাবা আল আমীন আহম্মেদ।

ঘটনার দিনের বর্ণনায় তিনি জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পর দিহানের সঙ্গে তার তিন বন্ধু সেখানেই ছিলো, তখন তাদের সবাইকে অস্থির লাগছিলো। এর আগে আনুশকার মোবাইল থেকে আমার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। তবে সেটা হাসপাতাল থেকে নাকি ওই বাসা থেকে এটা জানি না। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা আমাকে বলেন, মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে আনুশকার মা বলেন, যখন ওর (আনুশকা) মুঠোফোন থেকে সেদিন দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে কল করে তখন দিহান ও তার বন্ধুরা একসঙ্গেই ছিলো। হাসপাতালে পৌঁছাতেই আমার পা জড়িয়ে ধরে বলেন আন্টি আমাকে বাঁচান!

দুই পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে নির্যাতিত কিশোরীর মা বলেন, ঘটনার আগে তিনি দিহান নামের কাউকে চিনতও না। হয়তো এই নামে আনুশকার বন্ধু থাকতে পারে। তবে প্রেমের কোনো সম্পর্ক ছিলো না।

আনুশকার বাসায় সরেজমিনে দেখা যায়, তিন রুমের বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মেয়েটির। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি। দক্ষিণের জানালাটা অর্ধেক খোলা। বিছানা থেকে একটু নিচেই জায়নামাজ। দুটো কোরআন শরিফ ভাঁজ করা। এখানেই পরিবারের সবাই মিলে নামাজ পড়তো বলে জানান ভিকটিমের বাবা।

আনুশকার মা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আমাকে মেয়ের কাছে যেতে দেয়। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার মেয়ের নিথর দেহটা পড়ে ছিলো। পুলিশ ময়না তদন্তের পর আনুশকার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই বললেও মেয়ের ছবি দেখিয়ে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘পিঠে ও পিঠের নিচে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছি’।

মামলায় আসামি কেন একজনকে করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে আনুশকার মা বলেন, পুলিশ তাকে একজন আসামি করার জন্য পরামর্শ দেয়। বাকি অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে তখন আবার মামলা করা যাবে বলেন তিনি। পুলিশ তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখবেন।

তিনি আরো বলেন, আমার বাচ্চাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়েছে। এ নির্যাতন আসলে একজনের পক্ষে করা সম্ভব না। আমাদের মনে হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে চার জন জড়িত ছিলো। আমি আসলে বুঝতে পারিনি মেডিকেল রিপোর্ট কবে আসবে। তখনই তাদের নাম দেয়া উচিত ছিলো। পুলিশ কেন তাদের এত দ্রুত ছেড়ে দিলো? আরো একটু দেখতে পারতো। আর মামলাটাও তাড়াহুড়া করে হয়ে গেলো। চিন্তা করার সুযোগ মেলেনি।

নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, একজনের পক্ষে এভাবে একটা মেয়েকে নির্যাতন করা সম্ভব নয়। এখানে হয়তো অন্যকোন বিষয় জড়িত আছে।

মোবাইল উদ্ধার সম্পর্ক জানতে চাইলে ভিকটিমের বাবা বলেন, পুলিশ আনুশকার মোবাইলসহ ৪টি মোবাইল উদ্ধার করেছে। তবে মোবাইল নিয়ে কোন তথ্য তাদের দেননি বলেও তিনি জানান।

নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে আরো বলেন, তার মেয়ের মোবাইল থেকে ছবি নিয়ে দিহানের ছবির সঙ্গে ফটোশপের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে সমাজের কাছে তাকে খারাপ প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পুলিশের কাছে মোবাইল থাকতে কীভাবে এসব ছবি প্রকাশ হচ্ছে?

ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়ের বয়স কীভাবে ১৯ হলো আমরা বুঝলাম না। আমরা তো শুরু থেকেই বয়স ১৭ বলে আসছি। কিন্তু কে বা কারা ১৯ দিলো বুঝতে পারছি না। বিপদে পড়ে আমরা পাসপোর্ট, বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরেছি। পুলিশও যথেষ্ট আন্তরিক ছিলো। তারা ভালো কথাবার্তা বলছেন আমাদের সঙ্গে। সাহায্য করেছেন। তবে কোনো একটা জায়গায় তারা এই ভুলটা করেছেন। যার জন্য এটা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে মেয়েটাকে প্রাপ্ত বয়স্ক বানানোর চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দিহানের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। দিহানের বড় ভাইও নাকি তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছিলো। আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে; আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাদের শাস্তি চাই।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিমের একজন বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আনুশকা এবং আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ফ্রেন্ড (বন্ধু)। ঘটনার আগেরদিন তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিলো। দিহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে তিনি বলেন, আনুশকা জানিয়েছিলো এক মাস ধরে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। প্রেমের সম্পর্ক ওইভাবে ছিলো না। তবে ঘটনার আগে দেখা হয়েছে কিনা সে জানে না বলে জানান।

আনুশকার বাবার দাবি, সন্তানকে সে অনেক যত্ন করে বড় করেছেন। এই মামলার সত্যি প্রতিবেদন যাই আসুক সে মেনে নিবে। তবে কোন অসঙ্গতি হলে তিনি সেই রায় মেনে নেবে না।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর আনুশকাকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

গত ৭ জানুয়ারি দিনগত রাতে নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯-এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়। মামলার একমাত্র আসামিকে সেদিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Saiful Islam
  • Website
  • Facebook
  • X (Twitter)
  • Instagram

Saiful Islam is a journalist at Zoom Bangla News with seven years of experience in news writing and editorial work. He contributes to producing accurate, well-structured, and reader-focused content across digital platforms. His work reflects a strong commitment to editorial standards and responsible journalism.

Related Posts

খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন যেসব দেশের মন্ত্রী

December 31, 2025
জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

December 31, 2025
রেকর্ড আবেদন

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেতে রেকর্ড আবেদন

December 31, 2025
Latest News

খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ ঢাকায় আসছেন যেসব দেশের মন্ত্রী

জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক

রেকর্ড আবেদন

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট পেতে রেকর্ড আবেদন

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

খালেদা জিয়ার জানাজা, নিরাপত্তায় থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য

বিশেষ ব্যবস্থা

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

জোড় ও আগামী বিশ্ব ইজতেমা

টঙ্গী ময়দানে জুবায়েরপন্থীদের জোড় ও বিশ্ব ইজতেমা না করার নির্দেশ

জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা আজ দুপুর ২টায়

নতুন ঘোষণা

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা উপলক্ষে নতুন ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

ইসি

৫১টি দল মনোনয়ন জমা দিয়েছে : ইসি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Authors
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.