আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিইভের পক্ষে সাহসী ভূমিকা রাখায় বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ইউক্রেইনের নাগরিকত্ব দিয়ে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী করার অদ্ভুত এক পিটিশন বিপুল সাড়া ফেলেছে।
ইউক্রেইনে অদ্ভুত এক পিটিশনে বিপুল সাড়া পড়েছে। এতে বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ইউক্রেইনের নাগরিকত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তাকে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী করার আর্জি জানানো হয়।
ইউক্রেইনের ‘অফিসিয়াল পিটিশন সাইটে’ মঙ্গলবার এই পিটিশন স্থাপন করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাতে সই করেছে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ।
অথচ নিজ দেশে জনপ্রিয়তা হ্রাস এবং নিজ দলের নেতাদের আস্থা হারিয়ে জুলাইয়ের শুরুতেই দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন জনসন। তার দল কনজারভেটিভ পার্টি নতুন নেতা খুঁজে পেলে তার হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকেও বিদায় নেবেন তিনি।
তবে নিজ দেশে জনসন অপ্রিয় পাত্র হলেও ইউক্রেইনের কাছে তিনি পরম পূজনীয় ব্যক্তিত্ব। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেইনের পক্ষে সরব থেকে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসন শুরু হলে এর বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে সরব ছিলেন জনসন। তিনি দৃঢ়ভাবে ইউক্রেইনকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। শুধু কথায় নয় বরং অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা দিয়ে তিনি ইউক্রেইনের পাশে থেকেছেন। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেইনের মনোবল বাড়াতে দুইবার ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভও সফর করেছেন।
ফলে ইউক্রেইনে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন জনসন। কিইভে তার পেইন্টিং এবং ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে। এমনকী কেকের মধ্যেও জনসনের ছবির দেখা মিলেছে। দেশটির কিছু কিছু মানুষ জনসনকে এতটাই ভালোবাসেন যে, তারা তাকে আদর করে ‘জনসনিউক’ বলে ডাকেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে জনসনকে নিয়ে ওই পিটিশন করা হয়েছে। সেখানে জনসনের যেসব গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো মধ্যে ‘বরিস জনসনের জন্য বিশ্বব্যাপী সমর্থন, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থান এবং রাজনৈতিক, আর্থিক এবং আইনি ক্ষেত্রে তার প্রজ্ঞার’ কথা উল্লেখ করা হয়।
এ পিটিশনের একটাই ‘নেতিবাচক’ দিক আছে। ইউক্রেইনের সংবিধানের সঙ্গে এ পিটিশন সাংঘর্ষিক। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এমন কোনও নিয়োগ সম্ভব না।
এখানে একটি কাকতালীয় ব্যাপারও ঘটেছে। মঙ্গলবার জনসনকে নিয়ে পিটিশন করার কয়েকঘণ্টা পরই জনসন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তার ‘অবিশ্বাস্য সাহস, প্রতিরোধের ইচ্ছা এবং আত্মমর্যাদার’ জন্য ‘স্যার উইন্সটন চার্চিল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দেন।
অনলাইনে ওই পুরস্কার নেওয়ার সময় অবশ্য জেলেনস্কি পিটিশনের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে পিটিশনটির পক্ষে যদি ২৫ হাজার মানুষের সই পড়ে তবে তিনি তার জবাব দিতে বাধ্য।
চিরবিদায় নিলো শিল্পা শেঠির ‘প্রথম সন্তান’, শোকে যা করলেন বলিউড অভিনেত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।