জুমবাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের। তাই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার গঠনের পরপরই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষিকে অগ্রাধিকারভুক্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করেন। কৃষিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নের জন্য তিনি বিভিন্ন গবেষণামূলক সংস্থা ও ফাউন্ডেশন গঠন করেন।
রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ১৭তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি আজ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির দুই দিনব্যাপী ১৭তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনারের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মেসবাহুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মোঃ মিজানুল হক কাজল, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্ভূক্তিমূলক এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এই সেমিনার অত্যন্ত সময়োপযোগী ।
এই সেমিনার থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি উন্নয়নে সহায়ক হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমেই ষোলকোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কোভিড অভিঘাতজনিত ঘাটতি পূরণ করে কৃষিখাতকে উৎপাদনমূখী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় ভর্তূকি প্রদানসহ সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
ষোল কোটি জনগণের খাদ্য চাহিদা মোকাবেলায় অনাবাদী-পতিত জমিতেও চাষাবাদ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্রামীণ মানুষের মুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রণোদনা প্রদান, সারের পর্যাপ্ত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ১০টাকায় কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট খোলা, বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তার সুফলও এদেশের জনগণ পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্পিকার বলেন, কৃষিতে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিতে সমৃদ্ধি আনতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির পক্ষ থেকে তিনজন বরেণ্য কৃষিবিদকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। কৃষিতে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ড. মো আবুল কাশেম, ড. জাহাঙ্গীর আলম খানম এবং সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান।
এই সেমিনারে কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সদস্যবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।