জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ এবং একই সময় ওই গৃহবধূর স্বামীকেও বলাৎকার করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকায়।
এ ঘটনায় চারজনক আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি।
আসামিরা হলেন, দক্ষিণ গোয়ালপাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ধর্ষক জয়নুল হক (২৫)। অপরদিকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বলাৎকারকারীরা হলেন একই এলাকার এন্তাজুল এর ছেলে রণী ইসলাম (২৪), একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে নুর হোসেন (২১), আব্দুল মালেকের ছেলে শাহিন হোসেন (২১)।
ভুক্তভোগী ওই পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (১১ জুলাই) গভীর রাত ২টার সময় চা বাগানের চা পাতা কাটার জন্য বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর স্বামীকে ডেকে নিয়ে যান আসামিরা। ওই সময় চা বাগানের কাছে গেলে ওই চার আসামি তার পরনের লুঙ্গিসহ জামা খুলে নেয়। মোবাইল ফোনে ছবি তুলে সেটি এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রনি, নূর ও শাহীন তাকে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করেন।
অপরদিকে, এই সুযোগে ধর্ষক জয়নুল বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান। সকালে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ির ছোট ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করলে বাড়ি থেকে কিছু দূরে রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। তার অবস্থা কিছুটা খারাপ দেখে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি জানান। অপরদিকে, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ বাড়িতে বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই ৪ জনকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ কবির জানান, এ ঘটনায় ওই চারজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইন ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।