Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home অন্তরের ১০টি রোগ ও তার প্রতিকার
    ইসলাম ধর্ম

    অন্তরের ১০টি রোগ ও তার প্রতিকার

    Saiful IslamFebruary 27, 20208 Mins Read
    Advertisement

    ধর্ম ডেস্ক : ১. বেশি খাওয়া এবং ভালো খাবারের প্রতি লোভী হওয়া : বেশি খাওয়া এবং উদর পূর্তি করে খাওয়া অসংখ্য গোনাহের মূল। এ কারণে হাদিসে ক্ষুধার্ত থাকার অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মানুষের জন্য পূর্ণ করার ক্ষেত্রে পেটের তুলনায় খারাপ কোনো পাত্র নেই।’ (বোখারি, হাদিস : ৪৩৪৩)।

    খাবার কম খাওয়ার উপকারিতা : ১. অন্তরে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়, ২. দিল নরম হয় এবং মোনাজাতে স্বাদ অনুভূত হয়, ৩. অবাধ্য নফস অপদস্থ ও পরাজিত হয়, ৪. নফসকে শাস্তি দেওয়া হয়, ৫. কুপ্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, ৬. বেশি নিদ্রা আসে না এবং ইবাদত কষ্টকর হয় না, ৭. দুনিয়াবি চিন্তাভাবনা কমে আসে এবং জীবিকা নির্বাহের বোঝা হালকা হয়ে যায়। বর্তমান জমানার লোকেরা পূর্বের তুলনায় অনেক কমজোর হওয়ায় তাদের খাবারের মোজাহাদার ব্যাপারে হাকিমুল উম্মত হজরত থানবি (রহ.) লিখেছেন, ‘এ জমানায় খাবারের মোজাহাদার অর্থ হলো, পেট পূর্ণ হতে ২-৪ লোকমা বাকি থাকাবস্থায় খাবার শেষ করা এবং নফস বা শরীরের মাধ্যমে খুব কাজ নেওয়া।’ (খুতুবাতে হাকিমুল উম্মাহ)।

    ২. অধিক কথা বলা : জবান হলো অন্তরের দূত। অন্তরের যাবতীয় নকশা ও কল্পনাকে জবানই প্রকাশ করে। এ কারণে জবানের ক্রিয়া বড় মারাত্মক হয়। এজন্যই আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকটা কথাই সংরক্ষণ করা হয়।’ (সুরা কাফ : ১৮)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের লজ্জাস্থান এবং জিহ্বার ব্যাপারে আমাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেবো।’ (বোখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)।

    কথা বেশি বলার ক্ষতিসমূহ : ১. মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত হয়ে পড়া, ২. পরনিন্দা বা অন্যের দোষচর্চায় জড়িয়ে পড়া, ৩. অনর্থক ঝগড়া-বিবাদ করা, ৪. অতিরিক্ত হাসাহাসি করা, যার ফলে দিল মরে যায়, ৫. অন্যের অযাচিত প্রশংসা করা।

    চুপ থাকার উপকারিতা : ১. মেহনতবিহীন ইবাদত, ২. সাম্রাজ্যবিহীন দাপট, ৩. দেয়ালবিহীন দূর্গ, ৪. অস্ত্রবিহীন বিজয়, ৫. কিরামান কাতিবীনের শান্তি, ৬. আল্লাহভীরুদের অভ্যেস, ৭. হেকমতের গুপ্তধন, ৮. মূর্খদের উত্তর, ৯. দোষসমূহ আবৃতকারী, ১০. গোনাহসমূহ আচ্ছাদনকারী।

    ৩. অহেতুক গোস্বা করা : রাগ বা গোস্বা অত্যন্ত খারাপ একটি আত্মিক ব্যাধি। রাগ দোজখের আগুনের একটি টুকরো। এজন্য রাগান্বিত ব্যক্তির চেহারা লাল হয়ে যায়। এর কারণে মারামারি ঝগড়া-ঝাটি, গালাগালি, এমনকি খুনোখুনি পর্যন্ত সংঘটিত হয়। এমনকি অনেকে বৃদ্ধবয়সে এসে তুচ্ছ ঘটনায় বিবিকে তিন তালাক দিয়ে পস্তায়। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘ঐ ব্যক্তি বাহাদুর নয়, যে যুদ্ধের ময়দানে দুশমনকে নিচে ফেলে দেয়; বরং ঐ ব্যক্তি বাহাদুর, যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।’ (বোখারি, হাদিস : ৬১১৪)।

    গোস্বার চিকিৎসা : দু’ভাবে গোস্বার চিকিৎসা করা যায়- ১. ইলমি বা জ্ঞানগত পদ্ধতিতে, ২. আমলি বা কার্যগত পদ্ধতিতে।

    ইলমি চিকিৎসা : গোস্বার সময় চিন্তা করতে হবে, গোস্বা কেনো আসে? গোস্বা আসার কারণ তো এটাই, যে কাজটি আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে, সে কাজটি আমার মনের মোতাবেক কেনো হয়নি? কেনো এটা আল্লাহর ইচ্ছেনুযায়ী হলো? তার মানে আমি আল্লাহর ইচ্ছেকে আমার ইচ্ছের অনুগত বানাতে চাই? (নাউজুবিল্লাহ)। এভাবে চিন্তা করলে গোস্বার বদঅভ্যেস দূর হয়ে যাবে।

    আমলি চিকিৎসা : গোস্বা এলে ১. ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়া, ২. নিজ অবস্থা পরিবর্তন করা। অর্থাৎ দাঁড়ানো থাকলে বসে পড়া, বসে থাকলে শুয়ে পড়া, ৩. যার প্রতি গোস্বার উদ্রেক হয়েছে, তার সামনে থেকে সরে পড়া, ৪. তারপরও গোস্বা ঠান্ডা না হলে অজু করা, ৫. নিজ গালকে মাটিতে লাগিয়ে দেওয়া। এভাবে আমল করলে গোস্বা দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

    ৪. হিংসা করা : কোনো ব্যক্তিকে আরাম আয়েশ বা প্রাচুর্যপূর্ণ অবস্থায় দেখে তার সে নেয়ামত দূরীভূত হয়ে নিজের জন্য হাসিল হওয়ার আকাঙ্খা করাকে হিংসা বলে। হিংসা অত্যন্ত জঘন্য একটি ব্যাধি। আল্লাহতায়ালা হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘আমার বান্দার ওপর নেয়ামত দেখে হিংসাকারী কেমন যেনো আমার ঐ বণ্টনের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট, যা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে করেছি।’ (এহইয়াউ উলুমিদ্দিন : ৩/২৯২)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘হিংসা নেকীসমূহকে এমনভাবে জ্বালিয়ে দেয়, যেমন আগুন শুকনো লাকড়িসমূহকে জ্বালিয়ে দেয়। অবশ্য অন্যের কোনো নেয়ামত দেখে সেটা তার মধ্যে বহাল থেকে নিজের জন্য হাসিল হওয়ার আকাঙ্খা করা, যাকে গিবতা বা ঈর্ষা বলে, সেটা বৈধ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৩)।

    ৫. কৃপণতা ও সম্পদের মোহ : সম্পদের মোহই মূলত কৃপণতার মূল। আর সম্পদের প্রতি ভালোবাসা মানুষকে দুনিয়ার দিকে আকৃষ্ট করে। ফলে আল্লাহতায়ালার প্রতি ভালোবাসা দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণেই কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে যা দান করেছেন, তাতে যারা কৃপণতা করে, এই কার্পণ্য তাদের জন্য মঙ্গলকর হবে বলে তারা যেনো ধারণা না করে। বরং এটা তাদের পক্ষে একান্তই ক্ষতিকর প্রতিপন্ন হবে। যাতে তারা কার্পণ্য করে সে সমস্ত ধন-সম্পদকে কেয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে। আল্লাহ হচ্ছেন আসমান ও জমিনের স্বত্ত¡াধিকারী। আর যা কিছু তোমরা করো, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্যক অবগত।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮০)। হাদিসে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা লোভকে নিয়ন্ত্রণ করো। কারণ এটা তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদেরকে ধ্বংস করেছে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৭৮)। বাস্তবিকপক্ষে সম্পদের মোহ মানুষকে আল্লাহতায়ালা থেকে উদাসীন করে দেয়। এই সম্পদ মুসলমানদের জন্য ভয়াবহ এক ফেৎনা। অবশ্য শুধু সম্পদ কোনো নিন্দনীয় ব্যাপার নয়; বিশেষত যদি সে সম্পদ দীনি কাজে ব্যয় করা হয়। নতুবা প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোনো অসুবিধে নেই, যাতে কারো কাছে ভিক্ষার হাত বাড়াতে না হয় এবং আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা যায়।

    ৬. খ্যাতি ও পদের মোহ : খ্যাতি ও পদের মোহ অত্যন্ত নিকৃষ্ট একটি আত্মিক ব্যাধি। এর দ্বারা অন্তরে নেফাক সৃষ্টি হয়। এজন্য নিজেকে সবসময় লুকিয়ে রাখা চাই। খ্যাতির পেছনে পড়া অনুচিত। আল্লাহতায়ালা এরশাদ করেন, ‘এই পরকাল আমি তাদের জন্যে নির্ধারিত করি, যারা দুনিয়ার বুকে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করতে ও অনর্থ সৃষ্টি করতে চায় না।’ (সুরা কিসাস : ৮৩)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো বকরির পালের মধ্যে দুটি নেকড়ে প্রবেশ করে, তাহলেও সেটা এতো ক্ষতি করে না, যতোটা সম্পদ ও পদের মোহ দীনদার মুসলমানদের দীনের ক্ষতি করে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮১, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৫৭৯০)। অবশ্য যদি কামনা-বাসনা ছাড়াই আল্লাহতায়ালা কাউকে সুখ্যাতি দান করেন, সেটা দোষণীয় নয়। যেমন- নবীগণ (আ.), সাহাবিগণ (রা.), তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়িগণ (রহ.)-এর প্রত্যেকেরই দুনিয়াতে খ্যাতি ছিলো। কিন্তু তাঁরা কেউ পার্থিব খ্যাতি কামনা করেননি।

    ৭. দুনিয়াপ্রীতি : দুনিয়াপ্রীতি শুধু সম্পদ ও পদের মোহকেই বলে না, বরং ইহজীবনে যেকোনো অবৈধ কামনাকে পূর্ণ করার প্রচেষ্টা ও খাহেশকেই দুনিয়াপ্রীতি বলে। অবশ্য দীনের ইলম, মারেফাতে এলাহি এবং সৎকর্ম- যেগুলোর ফলাফল মৃত্যুর পর পাওয়া যাবে, সেগুলো যদিও দুনিয়াতেই সংঘটিত হয়; কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে এসবের মুহাব্বতকে দুনিয়ার মুহাব্বত বলে না, বরং এগুলো হলো আখেরাতের মুহাব্বত। দুনিয়ার জীবনের নিন্দাবাদ করে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘দুনিয়ার জীবনের সবকিছুই ধোঁকার সামান।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘দুনিয়ার সামানপত্র রং-তামাশা ও খেলাধুলা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ (সুরা হাদিদ : ২০)। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসকে উদ্দেশ্য না করে দুনিয়াকে আখেরাতের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যবহার করা চাই।

    ৮. অহংকার করা : তাকাব্বুর বা অহংকারের অর্থ হলো প্রশংসনীয় গুণাবলির মধ্যে নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ মনে করা এবং অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, হক ও সত্যকে অস্বীকার করা। যখন মানুষ নিজের ব্যাপারে এরূপ ধারণা পোষণ করে এবং আল্লাহর দেওয়া গুণসমূহকে নিজের কৃতিত্ব মনে করে, তখন তার নফস ফুলে ওঠে। এরপর কাজে-কর্মে এর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- রাস্তায় চলার সময় সঙ্গীদের আগে আগে চলা, মজলিসে প্রধানের স্থানে বা সম্মানিত স্থানে বসা, অন্যদেরকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখা বা আচরণ করা অথবা কেউ আগে সালাম না দিলে তার ওপর গোস্বা হওয়া, কেউ সম্মান না করলে তার ওপর অসন্তুষ্ট হওয়া, কেউ সঠিক উপদেশ দিলেও নিজের মর্জির খেলাফ হওয়ায় সেটাকে অবজ্ঞা করা, হক কথা জানাসত্তে¡ও সেটাকে না মানা, সাধারণ মানুষকে এমন দৃষ্টিতে দেখা, যেমন গাধাকে দেখা হয়, ইত্যাদি। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অনেক আয়াতে ‘অহংকার’-এর নিন্দাবাদ করা হয়েছে। অহংকারের কারণেই ইবলিস বেহেশত থেকে বিতাড়িত হয়েছে। অহংকারের ফলেই আবু জাহেল মহানবী (সা.)-কে সত্য জেনেও অস্বীকার করেছে। এর আগে বহু স¤প্রদায়কে অহংকারের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে। সুতরাং অহংকার শব্দটিকে যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেনো, তা সর্বাবস্থায় হারাম এবং এর পরিণাম হলো ধ্বংস ও জাহান্নাম। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তার সঙ্গে কাউকে শরিক কোরো না। আর সদয় ব্যবহার করো মাতা-পিতার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম, মিসকিন, আত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীর সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেন না তাদের, যারা দাম্ভিক ও অহংকারী।’ (সুরা নিসা : ৩৬)। হজরত লোকমান (আ.) তাঁর পুত্রকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তার বর্ণনা দিয়ে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘তুমি অহংকারবশত মানুষকে অবজ্ঞা কোরো না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক, অহংকারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লোকমান : ১৮)। রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ করেন, ‘অহংকারীদের বলা হবে, তোমরা জাহান্নামে প্রবেশ করো; চিরকাল অবস্থানের জন্য। কতোই না নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।’ (সুরা জুমার : ৭২)।

    ৯. আত্মতুষ্টি : আত্মতুষ্টি বা নিজেকে নিজে সঠিক মনে করা মূলত অহংকারেরই ভূমিকা বা প্রাথমিক রূপ। পার্থক্য শুধু এতোটুকু, অহংকারের ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় নিজের নফসকে বড় মনে করা হয় আর আত্মতুষ্টির মধ্যে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা ছাড়াই স্বীয় নফসকে নিজ খেয়ালে পূর্ণাঙ্গ মনে করা হয়। আল্লাহপ্রদত্ত নেয়ামতসমূহকে নিজের হক মনে করা হয়। অর্থাৎ এটাকে আল্লাহর দান ও অনুগ্রহ মনে করা হয় না। সেটা যেকোনো মুহূর্তে ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে শঙ্কাহীন হয়ে পড়া। এটাকেই তাসাউফের পরিভাষায় ‘উজুব’ বা ‘খোদপসন্দি’ বলে। এর চিকিৎসা করা না হলে এটাই কিছুদিন পরে অহংকারে পরিণত হয়ে বান্দাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়।

    ১০. লোক দেখানো (রিয়া বা প্রদর্শনী) : রিয়া বলা হয় নিজ ইবাদত ও ভালো আমলের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে বড়ত্ব ও মর্যাদার আকাঙ্খা করা। এটা ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত ব্যাপার। কেননা ইবাদতের দ্বারা মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এখন যেহেতু এই আমলের উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্য শরিকও চলে এসেছে, তাই একে ‘শিরকে আসগার’ বা ছোট শিরক বলা হয়। এরশাদ হচ্ছে, ‘মানুষকে কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইবাদত করার হুকুম করা হয়েছে।’ (সুরা বাইয়্যিনাহ : ৫)। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে অধোমুখে করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, তারা সবাই হবে রিয়াকার।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯০৫)। তারা সারা জীবন দীনের পথে থেকেও অন্তরের একটি রোগের কারণে সবার আগে জাহান্নামে যাবে। রিয়াকে ‘শিরকে খফি’ বা গোপন শিরকও বলা হয়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও ১০টি অন্তরের ইসলাম তার ধর্ম প্রতিকার রোগ
    Related Posts
    WiFi

    ব্রডব্যান্ড, ওয়াই-ফাই ও ইন্টারনেট ব্যবসার বিধান

    August 13, 2025
    কিয়ামত দিবস

    পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে কিয়ামত দিবসের অবস্থা ও বৈশিষ্ট্য

    August 13, 2025
    মুসলিম অভিভাবক

    সন্তানের প্রতি মুসলিম মনীষীদের উপদেশ ও চারিত্রিক দিকনির্দেশনা

    August 9, 2025
    সর্বশেষ খবর
    china-visa

    নতুন বিশেষ ভিসা চালু করছে চীন, যারা সহজে পাবেন

    coolie rajinikanth

    Rajinikanth’s ‘Coolie’ Smashes North American Box Office Records in Premiere Day Collection

    apple iphone 17 pro max

    iPhone 17 Pro Max Price in USA Revealed Ahead of Launch

    Trader arrested with drugs in BGB operation

    লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে মাদকসহ কারবারি আটক

    Gaibandha

    ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে দুই সন্তানের বাবাকে শিশু দেখিয়ে জামিন

    India-USA

    ভারতীয় কৃষকদের মার্কিন পণ্য বয়কটের ডাক

    Snake Island

    Russian Su-30SM Fighter Likely Shot Down Near Snake Island in Latest Black Sea Clash, Ukrainian Navy Reports

    Idaho student murders

    Idaho Murders: Kohberger’s Silent Guilty Plea Divides Victims’ Families

    The Seven Husbands of Elizabeth Taylor

    Elizabeth Taylor’s Epic Love Life: The Seven Husbands Who Shaped Her Legacy

    Free Fire Naruto Collaboration

    Free Fire x Naruto Shippuden: Itachi’s Scattering Crows Arrival Animation Launches in Chapter 2 Event

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.