আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববারও বেশ কয়েকজন তুরস্কের এডিরনের কাছে পাজারকুল সীমান্ত দিয়ে গ্রিসে ঢোকার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের নথিপত্র, জামাকাপড়, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নিয়ে তুরস্কের ভূখন্ডে পাঠিয়ে দেয়। সিএনএন, সাবাহ
সিএনএনের হাতে একটি ভিডিও এসেছে। এতে দেখা গেছে, অভিবাসন প্রত্যাশীরা অন্তর্বাস পরে তুরস্কের ভূখন্ডে ফিরে আসছে। বিশেষ করে এভরোস নদী দিয়ে বস্ত্র ছাড়াই তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে গ্রিসের নিরাপত্তা বাহিনী। তুরস্কের এ নদীর নাম মেরিক।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশসহ কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা এ ধরনের কয়েকটি অভিযোগ করেছিল। গ্রিস বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, মরক্কো ও পাকিস্তানের কয়েকজন অভিবাসন প্রত্যাশীর সঙ্গে সেখানে কথা বলেছেন সিএনএনের প্রতিবেদক।
সিরিয়ার আলেপ্পোর বাসিন্দা আবদুল আজিজ বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী অস্ত্র নিয়ে তাদের আটকে রেখেছিল। কয়েকজনকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। তাদের অনেকে হাঁটতে পারছে না। তারা সব কাগজপত্র, টাকা, মোবাইল ফোন, পরিচয়পত্র পুড়িয়ে ফেলেছে। অন্যদের মতো তিনিও অন্তর্বাস পরে ফিরে এসেছেন।
হামিদ নামে একজন বলেন, তিনি সপরিবারে শনিবার রাতে গ্রিসে ঢোকেন। তবে অন্যদের সঙ্গে তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়। তাদেরকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সব জিনিসপত্র কেড়ে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গ্রিস পুলিশের হামলায় শামিম নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। তিনি তুরস্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।