শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রাজনৈতিক বিবেচনায় দরকার না থাকার পরেও অনেক বেশি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাংকের অবস্থা বেশ নাজুক বলা চলে। স্বাভাবিকভাবে যেসব ব্যাংক লাইট সাপোর্টে থাকবে তাদের গ্রাহকরা ঝুঁকিতে থাকবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ প্রস্তাব দিয়েছে যে, এসব ব্যাংক একেবারেই বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। বর্তমান অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এভাবে সুপারিশ করেন। দেশে দরকার নেই এরপরেও ব্যাংক অনুমোদন দেয়ার কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এসব ব্যাংক এত বাজে অবস্থায় রয়েছে যে, তাদের ধাক্কা সামাল দিতে পারার সক্ষমতা বর্তমানে নেই। এজন্য একেবারেই দুরবস্থা যাদের সেসব ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়াটাই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হবে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জ্বালানি নিয়ে অনেক অনিয়ম হয়েছে। সরকারি অর্থ অপচয় হয়েছে। এজন্য আগের চুক্তি বাতিল করে ‘বিদ্যুৎ নেই, টাকা নেই’ নীতিতে যেতে হবে। পাশাপাশি গ্যাস-জ্বালানির নতুন উৎস বের করতে হবে। কূপ খননে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারের রাজস্ব আদায়ের কৌশল নিয়ে তিনি বলেন, কর বাড়াতে হবে। সেজন্য ভ্যাট নয়, সরাসির করের আওতা বাড়াতে হবে। করের অর্থ ভালোভাবে ব্যয় করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করতে হবে। কেননা, রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ থেকে কমে চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। সেজন্য কর আদায় বাড়াতে হবে। আবার এডিপির ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদে ব্যয় করা উচিত হয়নি। এর ফলে দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হবে।
যাদের খেলাপী ঋণ রয়েছে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দেয়া উচিত। এর জন্য আইনের সংস্কার আনা হতে পারে। তাছাড়া কেন্দ্র ব্যাংকের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। সিপিডি আরো জানায় যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন করতে চায় এ সিদ্ধান্ত ভুল নয়। তবে অর্থনীতি ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।