জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী?’ এমন পোস্ট দেয়ার কারণে বহিষ্কারের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুশেমুরবিপ্রবি) বিতর্কিত উপাচার্য খন্দকার নাসির উদ্দীনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
জিনিয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম দেয়। এ অবস্থায় জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি ও প্রশাসনকে বিব্রত করার জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আইন বিভাগের সব শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে আবেদন এবং বিভাগের সব শিক্ষক ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় জিনিয়া তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এনে এবং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবেদন আমলে নিয়ে ফাতেজা তুজ জিনিয়ার বিরুদ্ধে যে বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হলো।
বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ফাতেমা তুজ জিনিয়া বলেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার অবশ্যই ভালো বিষয়। কিন্তু আমি এভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাইনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্ষমা চাওয়া হয়েছে কিন্তু আমি কোনো অপরাধ করিনি সেহেতু ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা তুজ জিনিয়া বলেন, যোগাযোগ করেনি। আমরা বন্ধুরা একটি নোটিশ আমাকে পাঠিয়েছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নোটিশে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেইলি সানের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের মতামত জানান ভিসি নাসির উদ্দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।