জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের আলোচিত সেই অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমানকে অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা, তদন্ত কমিটির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, তদন্ত ও সরকারি কাজে বাধাদানসহ নানা অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে ওই আদেশে জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, যেহেতু মো. মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ, চাটমোহর সরকারি কলেজ, পাবনা-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর হতে তদন্ত করা হয়। তদন্তকালে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেননি, বরং কীভাবে তা বাধাগ্রস্ত করা যায়, সেই অপচেষ্টা করেছেন।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে অধ্যক্ষের এহেন আচরণ ঔদ্ধত্যপূর্ণ। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে অসহযোগিতা এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এ কলেজটি নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী ও অধ্যক্ষের মধ্যে বিভক্তি, এলাকায় অধ্যক্ষের অপকর্মবিরোধী কর্মসূচি পালন ও উত্তেজনাকর পরিবেশের বিষয়ে জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রায়শই প্রকাশিত হয়ে আসছে। এর ফলে কলেজটিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া তাকে সি আর ৩০৬/২০১৯ (চাটমোহর) ধারা ৩৭১/৪০৬/৪২০ দণ্ডবিধিতে গত ২৬ জানুয়ারি জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তাই মো. মিজানুর রহমানকে ২৬ জানুয়ারি থেকে ভূতাপেক্ষভাবে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল। জনস্বার্থে এ আদেশ অতিসত্বর কার্যকর হবে।
এর আগে কলেজের শতবর্ষী গাছ কাটার মামলায় গত ২৬ জানুয়ারি পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মো. সালাহউদ্দিন খাঁ শুনানি শেষে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে অধ্যক্ষ পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. মকবুল আহসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হন। এ দিকে অধ্যক্ষ মিজানের বরখাস্তের খবর শোনার পর চাটমোহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে খুশির আমেজ বিরাজ করে।
সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।