জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে বদলি হয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুরের ইউএনও মাহমুদা পারভীন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর শাজাহানপুরে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেছিলেন।
ইউএনওর কার্যালয়ের তথ্যমতে, ইউএনও মাহমুদা পারভীরকে রাজশাহীর পরিবেশ অধিদফতরে উপ-পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা, বাসায় বসে অফিস করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
অবরুদ্ধ ইউএনও
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি অনুদানের আবেদন করেও না পেয়ে ইউএনও মাহমুদা পারভীনের গাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়।
গত বছরের ২১ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সামনে শত শত ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেন। ওই সময় ইউএনও মাহমুদা পারভীন গাড়িতে করে বের হচ্ছিলেন। ভুক্তভোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেই গাড়ি আটকে দিয়ে ইউএনওকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিযোগ উঠেছিল, গত বছরের দুর্গাপূজার প্রায় এক মাস আগে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছিল উপজেলার রাধা গোবিন্দ মন্দিরের পূজা উদ্যোক্তা কমিটি। কিন্তু তাদের আবেদন আমলে নেননি ইউএনও মাহমুদা পারভীন। এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ইউএনওর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবরুদ্ধ করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার হুমকি
বগুড়ায় যুবলীগ নেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছিল ইউএনও মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে গত ২২ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগটি করেন শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও বগুড়া-৭ আসনের এমপির প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে ৪টার দিকে ইউএনও মাহমুদা পারভীনকে ফোন করেন যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম। তিনি ইউএনওর কাছে বিজয় দিবসের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চান। তখন ইউএনও তাকে বলেন, ‘আপনি যুবলীগের নজরুল না? আপনি আমাকে কেন ফোন দিয়েছেন? আপনি আমাকে ফোন দেবেন না। আমি আপনাকে খুঁজতেছি! পেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দিয়ে দেব।’
বাসায় অফিস ও জনগণের ভোগান্তি
গত ডিসেম্বর মাসে ২০ থেকে ২২ দিন অফিসে না গিয়ে বাসায় ছিলেন ইউএনও মাহমুদা পারভীন। উপজেলা পরিষদ এলাকায় বাসা থেকেই অফিসের জরুরি কিছু ফাইলপত্র স্বাক্ষর করেছেন। ওই সময় সেখানে সেবা পাননি কোনো মানুষ। ইউএনওকে না পেয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
প্রকল্পের টাকা নেয়ার অভিযোগ
ইউএনও মাহমুদা পারভীনের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও স্থানীয়রা। উপজেলার মাঝিড়া বটতলা এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমপির টিআর বরাদ্দ ও সাধারণ বরাদ্দের ২৪টি প্রকল্পের অধীনে ১২ লাখ টাকা আটকে রেখেছিলেন ইউএনও মাহমুদা পারভীন। বারবার ধরনা ধরলেও তিনি টালবাহানা করেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে উপজেলার ২৪টি প্রতিষ্ঠান।
জগন্নাথপুর দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুর রহমান ওই সময় বলেছিলেন, তার প্রতিষ্ঠানের মাঠের গর্ত ভরাট প্রকল্পের অধীনে ৩ টন টিআর বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজ শেষ হলেও বরাদ্দের ১ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। সূত্র : ডেইলী বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।