বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের বক্স অফিসে ঝড় তোলা সিনেমা ‘পাঠান’। গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। সাফটা চুক্তির আওতায় বলিউডের সঙ্গে মিলিয়ে একই দিনে সিনেমাটি মুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশের অ্যাকশন-কাট এন্টারটেইনমেন্ট। তবে অনুমতি জটিলতার তা আর সম্ভব হয়নি। চ্যানেল 24 এর প্রতিবেদক শিপন আলী-র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
তবে সেই জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আগামী ৫ মে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির আমদানির আবেদনকর্তা পরিচালক অনন্য মামুন।
অনন্য মামুন বলেন, ‘যেহেতু মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে আর কোনো বাধা নেই, আগামী ৫ মে আমাদের দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে।’
এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশে ‘পাঠান’ মুক্তির আভাস পাওয়া গিয়েছিল, এবারও সেরকম কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নাহ, এবার আর তা হবে না। অনুমতির জটিলতা তো কেটে গেছে। এখন শুধু আমাদের এখানে সেন্সর হবে।’
তবে কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে তা ঈদের আগে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান অনন্য মামুন।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল পাঁচটি শর্তে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় বাংলাদেশে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত সিনেমা আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। ওইদিন এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের শর্তগুলো হলো— ১. শুধু বাংলাদেশের বৈধ চলচ্চিত্র প্রয়োজক, পরিবেশকগণ উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির সুযোগ পাবেন। ২. উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র সাবটাইটেলসহ পরীক্ষামূলকভাবে শুধু ০২ (দুই) বছরের জন্য রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করার সুযোগ থাকবে। ৩. প্রথম বছর ১০টি (দশ) চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে আমদানি করতে পারবে।
এছাড়া শর্তের মধ্যে রয়েছে— ৪. আমদানিকৃত উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পূর্বে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সনদ গ্রহণ করতে হবে। ৫. বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল আযহা ও দুর্গাপূজার সপ্তাহে উপমহাদেশীয় ভাষার কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা যাবে না।
এর আগে শর্ত সাপেক্ষে ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশে আমদানির পক্ষে সম্মত হয় ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, প্রেক্ষাগৃহমালিক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের ১৯ সংগঠন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এসব সংগঠনের জোট সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে।
পরে জানানো হয়, শর্ত সাপেক্ষে ভারতীয় সিনেমা বাংলাদেশে আমদানিতে কোনো আপত্তি নেই তাদের। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আশ্বাসও দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।