বর্তমান সময়ে একটা কথা প্রায় শোনা যায় যে, ফুটবলটা ইউরোপের দখলে চলে যাচ্ছে। এখানে ২০০৬ থেকে ২০১৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রত্যেকবার চ্যম্পিয়ন হয়েছে ইউরোপের কোন দেশ। তবে ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ফাইনালের মঞ্চে উঠতে সক্ষম হয়েছিলো। তবে কাতার বিশ্বকাপে লাতিন কোন দেশ চ্যম্পিয়ন হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছে সবাই।
এবার কাতারে ইউরোপিয়ান দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বকাপ জেতায় অন্যতম ফেভারিট দেশ ধরা হচ্ছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনাকে। মেসি, লাউতারো এবং ডি মারিয়া ছাড়া আর্জেন্টিনায় তারকা ফুটবলার তেমন নেই। তবে একটা দল হিসেবে তারা দুর্দান্ত পারর্ফম করছে। বিপরীতে ব্রাজিল দলে তারকা মুখ দিয়ে ভরা। গোলবারে অ্যালিসন ও এডারসন। মিডফিল্ডে ক্যাসেমিরো এবং ফ্যাবিনহো ছাড়াও নেইমার, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জেসুস, অ্যান্টনি, রাফিনহা, মার্টিনেল্লি এর মত খেলোয়াড় রয়েছেন।
রক্ষণে থিয়াগো সিলভা, এডার মিলিতাও ,ব্রেমার এবং মার্কিনোস রয়েছেন। এখানে কোনো চমক নেই। এই চারজনেরই দলে ডাক পাওয়ার কথা। প্রতিপক্ষ বুঝে তিতে এবার রাইটব্যাক পজিশনে মিলিতাওকে খেলাতে পারেন। বর্তমান ফুটবলে প্রায় সময়ই একজন সেন্টারব্যাকের পাসিং, এরিয়াল ডুয়েল এবং গতি দেখে তাকে মাঠের ডানপাশে (মেকশিফট ফুলব্যাক) হিসেবে খেলানোর চেষ্টা করানো হয়।
বামপাশে অ্যালেক্স স্যান্দ্রো আহামরি কোনো ফুলব্যাক না হলেও তার গতিটা বেশ ভালো। হুটহাট প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে যেতে পারেন। ক্রসটাও নেহায়েত মন্দ দেন না। কিন্তু আরেক ফুলব্যাক অ্যালেক্স তেলেস বহুদিন হলো নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ব্যর্থ সময় কাটিয়ে সেভিয়াতে গিয়েও নিজের জায়গা খুঁজে নিয়েছেন বেঞ্চে। তাই স্যান্দ্রোর সাথে যোগ্য সঙ্গীর অভাবটা এখানে থেকে গেল।
ব্রাজিল দলের লেফটব্যাকে খেলার মতো যে আর কেউ নেই। তবে তিতের ফুটবল কৌশল ঠিক ফুলব্যাক ভিত্তিক না। তার মূল অস্ত্র হচ্ছে মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ড। ব্রাজিল সবসময় প্রতিপক্ষের রক্ষণে আক্রমণ শানিয়েই তাদের ফুটবলটা খেলে গেছে। এবার নেইমার-রাফিনহা-ভিনিসিয়ুস-জেসুসদের নিয়ে গড়া আক্রমণও তার ব্যতিক্রম হবে না।
আর মাঝমাঠ দখলে রাখার কাজটা ক্যাসেমিরো-ফ্রেড-পাকেতা-ব্রুনোরা বেশ ভালোই জানেন। এজন্যই হয়তো সেলেকাও ফুলব্যাক পজিশনে অতিরিক্ত চাপ থাকবে না। স্যান্দ্রো ও দানিলোরা বিশেষ কোনো ভুল না করলে এই ব্রাজিলকে তো গোল করা থেকে থামানোই অসম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।