বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : টেক জায়ান্ট গুগল ব্যবহারকারীদের লোকেশন ডেটা কোম্পানির সার্ভারে সংরক্ষণের বদলে এখন থেকে গ্রাহকদের ফোনেই সংরক্ষণ করবে।
এতোদিন ধরে সম্ভাব্য অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করতে গুগলের বিশাল ডেটা ব্যাংক ব্যবহারের সুযোগ ছিল পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘদিনের প্রচলিত “জিওফেন্স ওয়ারেন্ট” নামের রেওয়াজটির অবসান হবে বলে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্মার্টফোনের বহুল প্রচলন এবং গুগলের মতো ডেটা পিপাসু কোম্পানিগুলোর ‘সর্বগ্রাসী’ ডেটা আহরণের ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কাছে ব্যবহারকারীদের অবস্থানের তথ্য সহজলভ্য হয়েছে।
এই কথিত ‘জিওফেন্স ওয়ারেন্টের’ মাধ্যমে পুলিশ গুগলের কাছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো ব্যবহারকারীর ডিভাইসটির ভৌগোলিক অবস্থানের তথ্য চাইতে পারে।
এই চর্চাটি মার্কিন আইনে নাগরিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচক মহল। সেইসঙ্গে এর বিশাল ব্যাপ্তি ও এর কারণে নিরপরাধ ব্যাক্তিদের হেনস্থা হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকক্রাঞ্চ। অন্যদিকে জিওফেন্স ওয়ারেন্টে আইনত বৈধ কি না তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন আদালত ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছে। এর ফলে সম্ভবত এর চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য মার্কিন সুপ্রিম কোর্টেই যেতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে।
গত সপ্তাহে ঘোষণায় গুগল স্পষ্ট করে “জিওফেন্স ওয়ারেন্টের কথা উল্লেখ না করলেও বলেছে গ্রাহকদের ডিভাইসে সংরক্ষণের ফলে নিজেদের ডেটায় তাদের “অধিক নিয়ন্ত্রণ” থাকবে। তবে মোদ্দা কথা হলো, এই পরিবর্তনের ফলে এর পর থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া গুগলের কাছের গ্রাহকের অবস্থানের তথ্য চাইতে পারবে না পুলিশ।
গুগলের গ্রাহকের অবস্থানের তথ্য পুলিশের হস্তক্ষেপ ২০১৯ সালে প্রথম উন্মোচিত হয়। দীর্ঘকাল যাবত গুগল গ্রাহকের অবস্থানের ডেটা তাদের বিজ্ঞাপন ব্যবসায় ব্যবহার করছে, এবং ২০২২ সালে কোম্পানিটির মোট আয়ের ৮০ শতাংশ বা ২২ হাজার কোটি ডলার এসেছে এই খাত থেকে।
গুগলের সর্বেশেষ প্রকাশিত নথিতে দেখা যায়, কোম্পানিটির কাছে ২০১৮ সালে নয়শ ৮২ টি, ২০১৯ সালে আট হাজার তিনশ ৯৬টি এবং ২০২০ সালে ১১ হাজার পাঁচশ ৫৪টি জিওয়ারেন্ট দাবি করেছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।