স্বাস্থ্য ডেস্ক : কারো পারিবারে যদি ক্যান্সার আক্রান্ত কোন ব্যক্তি থেকে থাকেন,তবে তার উচিত শারীরিক যেকোন পরিবর্তন বা অ্যাবনরমালিটিকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া।যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।পাশাপাশি,নীচের লক্ষণ গুলো থেকে যদি এক বা একাধিক কারণ মিলে যায় তবে অবশ্যয় আপনাকে সতর্ক হতে হবে।
প্রচন্ড ক্লান্তি
পর্যাপ্ত ঘুম বা বিশ্রাম নেবার পরও যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন তবে বুঝতে হবে কোথাও না কোথাও সমস্যা হচ্ছে।সুতরাং,এমন অবস্থা দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
ওজন কমে যাওয়া
প্রতিটি মানুষই ফিট থাকতে চাই।তবে,কোন কারণ ছাড়া যেমনঃ ব্যায়াম বা ডায়েটিং বা খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম ছাড়ায় যদি হুট করে আপনার ওজন অনেক খানি কমে যায় তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিন।আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে,অধিকাংশ ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে অজানা কারণে ওজন কমার বিষয়টি লক্ষ করা যায়।
জ্বর
দীর্ঘ মেয়াদী জ্বর থেকেও অনেক সময় ক্যান্সারের আগমনী বার্তা পাওয়া যায়।বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদী জ্বর মানেই হতে পারে,ইমিউন সিস্টেমের ক্যান্সার যা শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে।
দেহের যেকোন স্থানে ব্যথা
যদি শরীরের কোন স্থানে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথা যেমন মাথাব্যথা বা ব্যাক পেইন থাকে,তবে তা হতেও পারে কোন ক্যান্সারের আগমনী বার্তা।তাই,শরীরের কোন স্থানে যদি কারণ ছাড়া ব্যাথা হয় সেটা আমলে নিন।
স্কিনে পরিবর্তন
শরীরের যে কোন স্থানে,যদি চামড়ার রঙে কোন ধরণের পরিবর্তন দেখা বা চাপড়ার তবে কি কারণে এমনটা হয়েছে তা জানা দরকার।
অস্বাভাবিক হেয়ার গ্রোথ
শরীরের বিভিন্ন স্থানে হুট করে হেয়ার গ্রোথ স্কিন ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
তিল বা মোলের পরিবর্তন
আমাদের শরীরে তিল বা মোল থাকতে পারে,যদি হুট করে এই সব তিল বা মোলের আকার,রঙ বা আকৃতিতে পরিবর্তন দেখা দেয় তবে সময় ক্ষেপণ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
হজমের সমস্যাতে কম বেশি আমরা সবাই ভুগে থাকি।যে কারনে,সমস্যাটিকে খুব স্বাভাবিক ভাবে নেয়া হয়।অথচ হজমের সমস্যা হতে পারে আপনার আপার ডাইজেস্টিভ ট্রাক্টে ক্যান্সারের কারণ।
লাম্ফ
আমাদের অনেকের শরীরে ছোট লাম্ফ বা টিউমার থাকতে পারে।যদি চামড়ার নীচে থাকা এইসব লাম্ফ হঠাৎ করে বড় হতে থাকে অথবা শরীরের অন্যান্য স্থানে এক বা একাধিক নতুন লাম্ফ দেখা দেয় তবে সাবধান হতে হবে।
রক্ত পড়া
কিছু কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ভাবে রক্ত ঝরতে পারে।সুতরাং,কাশির সাথে,ইউরিন বা স্টুলের সাথে রক্ত গেলে অথবা শরীরের কোন স্থান থেকে অস্বাভাবিক ভাবে রক্ত ঝরলে সাবধান হোন সচেতন হোন।
সোর
সোর বা ক্ষত বেশ কয়েকধরণের ক্যান্সারের সাথে জড়িত যেমন : স্কিন ক্যান্সার,ওরাল ক্যান্সার বা ইউটেরাস ক্যান্সার।সুতরাং,ঠোট মুখ বা জিহ্বার বিভিন্ন স্থানে যদি সোর বা ক্ষত দেখা দেয় তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ইউরিন রুটিনে পরিবর্তন
ইদানিং আপনি যদি খুব বেশি বেশি ইউরিনেশনের চাপ অনুভব করেন এবং সেসাথে ইউরিনেশনের সময় ব্যথা অনুভব করেন তবে এটা হতে পারে ব্লাডার বা প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণ।
পায়খানায় পরিবর্তন
যদি আপনি নিয়মিত ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতে ভুগে থাকেন এবং আপনার স্টুল সাইজে হঠাৎ কোন পরিবর্তন হয় তবে হতে পারে আপনি লোয়ার ডাইজেস্টিভ ট্রাক্টে ক্যান্সার আক্রান্ত।
কফের সমস্যা
দীর্ঘদিন ধরে যদি কেউ কাশির সমস্যাতে ভুগতে থাকেন এবং ট্রিটমেন্ট করার পর ও যদি সেরে যাবার কোন নাম না নেয় তবে,দেরী না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।এই সমস্যাটি ও ক্যান্সারের আগমনী বার্তা হতে পারে।মূল কথা হল শরীরে যেকোন পরিবর্তন বা সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়।নিজের মন মত কোন ব্যাখা দাড় না করিয়ে,যিনি বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন তার অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ বা সাহায্য নিন।
সুতরাং, উপরের একের অধিক লক্ষণ যদি আপনার সাথে মিলে যায় তবে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
লেখক : বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেড।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।