নিউইয়র্কের ব্রাইটনে লেজার এনারজেটিক্সের গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা একটি শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করে এক ফোঁটা জলে শক ওয়েভ তৈরি করেছেন। এর ফলে তাপমাত্রা হাজার হাজার ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি বায়ুমন্ডলে প্রচন্ড চাপ তৈরি হচ্ছিল।
এক্সরে দ্বারা প্রকাশিত হয় যে, জলের ফোঁটার পরমাণু কঠিন হিমায়িত হয়ে স্ফটিক বরফ তৈরি করে। তৈরি করা বরফকে সুপার আয়নিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, এটি পানির একটি নতুন ফেজ।
এর বৈশিষ্ট্য নিয়মিত বরফের মত নয়। এটি দেখতে কালো রঙ্গের এবং তাপমাত্রা বেশি গরম অনুভূত হবে। বিজ্ঞানীরা ৩০ বছরের বেশি আগে এ ধরনের ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। তবে এবার প্রথমবারের মতো এই ধরনের বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, ইউরেনাস এবং নেপচুন এর মত গ্রহে এ ধরনের পানি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। বরফের স্ফটিকের অন্যান্য ১৮টি পরিচিত আর্কিটেকচার এর মধ্যে সুপার আয়নিক বরফ বেশি আলাদা।
সুপার আয়নিক বরফের একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে জলের অনুগুলি ভেঙ্গে যায়। এখানে হাইড্রোজেন পরমাণু মুক্ত হয়ে যায় এবং অক্সিজেনের মধ্য দিয়ে তরলের মত কিছু একটা প্রবাহিত হয়।
এর ফলে সুপার আয়নিক বরফের একটি অংশ কঠিন হয়ে যায় এবং অন্য অংশ আংশিক তরল হয়ে যায়। পদার্থের এরকম অবস্থা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। এর ফলে সুপার আয়নিক বরফ নিয়ে যে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল তা সত্য প্রমাণিত হলো।
বছরের পর বছর ধরে সুপার আয়নিক বরফ খোঁজার চেষ্টা করছিল পদার্থবিদরা। ১৯৮৮ সালে কম্পিউটারে এ নিয়ে একটি সিমুলেশন করা হয়েছিল। সুপার আয়নিক বরফেরে যুগান্তকারী আবিষ্কার আমাদের মহাবিশ্ব ও জলের অবস্থা বোঝার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রচন্ড চাপ এবং তাপে সুপার আয়নিক জলের অনুকুলে ভেঙ্গে যায় এবং এখানে ধাতুর মত বিদ্যুৎ পরিচালিত করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি এ ধরনের বরফের হাইড্রোজেনগুলি ইলেকট্রনের মতে স্বাভাবিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।