জুমবাংলা ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এক কিশোর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল ম্যাচ দেখতে যেতে না পারায় অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। হাসপাতালে ওই কিশোরকে দেখতে গিয়ে তার পড়াশোনা ও খেলাধুলার সব দায়িত্ব নেবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কিশোরকে দেখতে যান সুমন। এ সময় তিনি কিশোরের দাদির হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।
এর আগে ওই দিন বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ডিকে কলেজ মাঠে মুখোমুখি হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও রানীশংকৈলের সোহেল রানা ফুটবল একাডেমি। খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য ওই কিশোর পরিবারের কাছে দুইশ টাকা চায়। কিন্তু টাকা না দিলে সে অভিমান করে সন্ধ্যায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
অভিমানী কিশোর রত্নাই বারসা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সঞ্জিব কুমার রায়।
এ দিকে ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আসলে এই বয়সে ছেলেমেয়েরা অভিমানী হয়। এটা তার পরিবারেরও দোষ না। কারণ পরিবার খুব দরিদ্র হওয়ায় টাকা দিতে পারেনি। আমরা যদি সুস্থ ধারার কাজ করে সমাজটাকে গড়তে পারি ও ভালো কাজ করি তাহলে অবশ্যই মানুষের সাড়া পাওয়া যাবে।’
তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের প্রশংসা করে আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের বিমানবন্দরটি এখন শুধু আমার কাছে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের দাবি নয়, এটি যৌক্তিক দাবি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই বিমানবন্দরের জন্য আন্দোলন করে যাবো। কারণ ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে আমি আত্মীয় মনে করি।’
“কি করবো এই কাগজ নামের সার্টিফিকেট দিয়ে?”, চাকরির জন্য আকুতি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।