জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে আটক অমিত সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে মিন্টু রোডের গোয়েন্দা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সংশ্লিষ্টতা পেলে আবরার হত্যায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সবুজবাগের একটি বাসা থেকে অমিত সাহা কে আটক করে গোয়েন্দারা।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। এছাড়া এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছে। আবার আবরার কে যে কক্ষে পেটানো হয়েছে সেটিও অমিত সাহার নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ কারণে তাকে আটক করা হয়েছে।
এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর সংশ্লিষ্টতা পেলে আবরার হত্যায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছিলেন, আবরারকে শেরেবাংলা হল এর ২০১১ নম্বর যে কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেটি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহার নিয়ন্ত্রণে ছিল। অথচ মামলায় তাকে আসামি করা হয়নি। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
বুধবার আবরার হত্যায় অমিতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আবরারের এক বন্ধু ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল করেন। ভাইরালে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনার আগে অমিত সাহা ওই বন্ধুকে মেসেঞ্জারে জিজ্ঞাসা করেন ফাহাদ হলে আছে কিনা। তখন তিনি এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তবে ভয়ে ওই শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ করেনি।
রোববার রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ।
আবরার হত্যায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে অমিত বাদে বাকি ১৩ জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।