বিনোদন ডেস্ক : অর্জুন-সোনমের মুখে চোখে ভরা দুষ্টুমি, ছোটবেলার ছবি ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি করেন না বলি-প্রযোজক বনি কাপুর। অন্যান্য তারকা কিংবা বলি-ব্যক্তিত্বদের মতো প্রায়শই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানান খবর পোস্টও করেন না।
তবে মাঝেমধ্যে দু’একটি থ্রোব্যাক ছবি পোস্ট করেন তিনি অথবা ছেলে মেয়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের টুকরো টাকরা ঝলক। যেমন এবারে করলেন তাঁর ছেলে অর্জুন কাপুর এবং ভাইঝি তথা অনিল কাপুরের বড় মেয়ে সোনম কাপুরের ছোটবেলার একটি ছবি। ছবিতে দু’ভাই বোনের দুষ্টুমি ভরা হাসি দেখে ইতিমধ্যে মন গলেছে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি সোফায় পাশাপাশি বসে রয়েছেন অর্জুন-সোনম। সাদা পোশাকে সোনম এবং হলুদরঙা প্রিন্টেড শর্তে যারপরনাই মিষ্টি লাগছে ভাই-বোন দু’জনকেই। তবে নজর কেড়েছে ছবিতে এই দু’জনের চোখেমুখে মাখানো দুষ্টুমিভরা হাসি। ছবির ক্যাপশনে সেকথার ইঙ্গিত দিয়েছেন বনি নিজেও, ‘নিশ্চয়ই দু’জনে মিলে তখন কোনও বদমায়েশি করেছিল ওঁরা।’
প্রসঙ্গত, তুতো ভাই বোন হলেও অর্জুন এবং সোনম কাপুরের ‘বন্ডিং’ এর কথা বলিউডে সর্বজনবিদিত। প্রায় পিঠোপিঠি বয়সী তাঁরা। মাত্র কয়েকদিনের তফাতে জন্ম সোনম এবং অর্জুনের।এক সাক্ষাৎকারে অর্জুন তাঁদের ছোটবেলার এক মজাদার কিসসাও শুনিয়েছিলেন। জানালেন, তিনি আর সোনম একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তখন একটু উঁচু ক্লাসে পড়েন তাঁরা। সেইসময় সিনিয়র ক্লাসের ছেলেরা সোনমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় অর্জুনের। এমনকি স্কুল থেকেও কিছুদিনের জন্য বহিস্কৃত করা হয়েছিল তাঁকে!
‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ ছবির নায়কের কথায়, ‘ ছোট থেকে আমি আর সোনম এক স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। তখন একটু উঁচু ক্লাসে পড়ি আমরা। আমি আর ও দু’জনেই বাস্কেটবল খেলতাম স্কুলে। আমি তখন বেশ মোটাসোটা চেহারার ছিলাম। তবে শান্ত ছিলাম। আজও হুটহাট করে রেগে যাই না।
তো হঠাৎ একদিন কাঁদো কাঁদো মুখে এসে সোনম জানালো উঁচু ক্লাসের কয়েকটি ছেলে নাকি তাঁর হাত থেকে বাস্কেটবল কেড়ে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এসব শুনে আমার মাথাটা তখন ধাঁ করে গরম হয়ে গেল। সোনমকে জিজ্ঞেস করাতে সে দেখিয়ে দিল কোন ছেলেটি তাঁর সঙ্গে ওই কান্ডটি করেছে। ব্যাস! তারপরেই আমি আর আগুপিছু না দেখে উঁচু ক্লাসের ওই ছেলেটির কাছে গিয়ে চিৎকার করে তাঁকে গালিগালাজ দেওয়া শুরু করলাম।’
এরপর সামান্য থেমে হাসতে হাসতে অর্জুন আরও বলেন,’ প্রথম কয়েক মুহূর্ত আমার মুখে ঐসব গালিগালাজ শুনে স্রেফ হাঁ হয়ে গেছিল ছেলেটি। তারপর বেধড়ক মারতে শুরু করলো আমায়। ওরকম জোরালো ঘুঁষি খেয়ে আমার চোখে ততক্ষণে কালশিটে পড়ে গেছে। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো স্কুল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল আমাকে।
কারণ ঝামেলার সূত্রপাত করেছিলাম আমিই। এন্তার গালাগালি দিয়েছিলাম। পরে বাড়ি ফিরে ডাক্তারের কাছেও যেতে হয়েছিল আমাকে। এর কিছুদিন পর সোনম মারফৎ জানতে পারি ওই ছেলেটি জাতীয় স্তরের বক্সিং খেলোয়াড়! শুনে তো তখন আমি স্রেফ হাঁ। বুঝেছিলাম ভুল জায়গায় পাকামো করে ফেলেছি।’
কথার শেষে অর্জুনের সংযোজন,’ এরপর সবকিছু মিটলে আমি সোনমকে বলে দিয়েছিলাম এবার থেকে স্কুলে নিজের ঝামেলা নিজে মেটাবি। খবরদার আমাকে ডাকবি না। এসবের পাল্লায় আমি আর পড়তে চাই না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।