জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিয়ের দাবিতে এক স্কুলছাত্রী ছয়দিন ধরে তার প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বিয়ের আগে যৌতুকের অগ্রিম টাকা নিলেও এখন পর্যন্ত তাকে বিয়ে করেননি প্রেমিক সাখওয়াত হোসেন।
উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের শেখ সুন্দর মাস্টারপাড়া এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার বদিউজ্জামানের ছেলে সাখওয়াত হোসেন পার্শ্ববর্তী এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে। বিষয়টি মেয়ের পরিবার বুঝতে পেয়ে মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চায়। মেয়ের বাবা যৌতুকের কিছু টাকা বর পক্ষকে দিয়েও দেয়। কিন্তু সাখওয়াত বিষয়টি জানতে পেয়ে ওই বিয়ে ভেঙে দেয়।
এর পর সাখওয়াত ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়িতে আসতে বলে। প্রেমিক সাখওয়াতের কথা মতো ওই স্কুলছাত্রী গত ১৯ আগস্ট সাখওয়াতের বাড়িতে আসে। এ সময় সাখওয়াত তাকে বিয়ে না করেই তার সঙ্গে দৈহিক মিলনের চেষ্টা করে। এসময় স্কুলছাত্রীটি চিৎকার করলে সাখওয়াত পালিয়ে যায়। সেদিন থেকে বিয়ের দাবিতে ওই স্কুলছাত্রী অনশন শুরু করে সাখওয়াতের বাড়িতে।
ওইদিন রাতে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করতে গ্রাম্য সালিশে বসে। ওই সালিশে দেড় লাখ টাকা যৌতুক ঠিক করে সাখওয়াত তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। স্কুলছাত্রীর বাবা যৌতুকের পাঁচ হাজার টাকা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমেই ছেলে পক্ষকে দেয়। তবে এ ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও মেয়েটিকে বিয়ে করেনি সাখওয়াত।
এদিকে বিয়ে না করায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে সানিয়াজান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, স্থানীয়ভাবে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রপা্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ‘এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।