আওয়ামী লীগের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের দুর্নীতি দমনে তেমন ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারেনি। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের উপর যথেষ্ট চাপ রয়েছে যেন গত ১৬ বছরে যে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে তার বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য খাতে বেহাল অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য দুদকের কার্যক্রম দেখতে চায় সবাই। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সব কিছুর আয়োজন করছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, কারো বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়ে থাকলে সে আদালতের জামিন ছাড়া বাইরে বের হতে পারবে না। বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এজন্য তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন নিজেই মামলা করেছিল জানুয়ারি মাসে। দুর্নীতির দমন কমিশন বিশ্বাস করে যে তার দুই কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে যা আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ অর্থ তিনি দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ইনকাম করেছে বলে বিশ্বাস করে দুদক।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন মাসুদ বিশ্বাস। এর পরেই তার সম্পদের অনুসন্ধনে নামে দুদক। মামলার ১৫ দিনের মাথায়, এক সময়ের দুর্দান্ত প্রভাবশালী, দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এই প্রধানকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
আর্থিক খাতের আর এক প্রভাবশালী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার বা এস কে সুর চৌধুরী। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বহুল আলোচিত হল–মার্কের ঋণ জালিয়াতি ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে দুদক। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
জাল জালিয়াতির অভিযোগে জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার করা হয় সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমানকে। গ্রেফতার কার্যক্রম আরো জোড়দার হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।