অর্থনৈতিক সংকটে মহার্ঘ ভাতা কার্যকরে সংশয়

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে দেশজুড়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এ ভাতা দেওয়া হবে নাকি হবে না এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ সরকার। এরকমটাই জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সচিবালয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে যখন কথা হয়, তখন এরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেন যে, মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত কে নিয়েছে এ বিষয়টি এখনো তার কাছে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয়। তার কথা শুনে হয়তো মনে হতে পারে সরকার ভাতা দেওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারে। তবে তিনি আরো জানেন যে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

এর আগে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছিল তা দেয়া হবে না। খবরে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। জানুয়ারি থেকেই এ ভাতা কার্যকরের যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

 এর আগে গত ৯ জানুয়ারি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সরকার মহার্ঘ ভাতা দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে।

 তিনি জানান, মহার্ঘ ভাতা ইস্যুটা অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে আমিও একজন মেম্বর। ইতিমধ্যেই দুইটা মিটিং হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা খুব শিগগিরিই হবে। তবে এবার ব্যতিক্রম হবে। আগে পেনশনভোগীরা মহার্ঘ ভাতা পেত না, এবার পাবে। একটা রিজেনেবল পাবে। পরের বছর ইনক্রিমেন্টের সময় এই মহার্ঘ ভাতাটা তার বেসিকের সঙ্গে যোগ হবে।

বর্তমান অর্থ বছরের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কত পারসেন্ট ভাতা দেওয়া হবে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কোন স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। আরো বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অর্থ সচিবের দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি মনে করেন কোন মাস থেকে ধরা হবে বা পারসেন্ট কথা হবে তা অর্থ সচিব ভালো বলতে পারবেন।