Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:গৌরবের গল্প
    খেলাধুলা ডেস্ক
    খেলাধুলা

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:গৌরবের গল্প

    খেলাধুলা ডেস্কMd EliasAugust 16, 20257 Mins Read
    Advertisement

    সেই সকালটা ছিল অন্যরকম। আটলান্টার গরম হাওয়াতেও বাংলাদেশের পতাকা উড়ছিল গর্বে। ১৯৯৬ সালের ২৬শে জুলাই। অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সেদিন নতুন মাত্রা পেল। সিদ্দিকুর রহমান, আমাদের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট, তার স্পাইকড জুতা বেঁধে দৌড়ের ট্র্যাকে দাঁড়িয়েছেন। লক্ষ্য শুধু ফিনিশ লাইন ছোঁয়া নয়; লক্ষ্য বিশ্বকে জানান দেয়া – এই ছোট্ট দেশটার মানুষের হৃদয় কত বড়, প্রত্যয় কত অটল। সেই প্রথম পদক্ষেপ থেকে আজ পর্যন্ত, অলিম্পিকের এই মহামঞ্চে বাংলাদেশের উপস্থিতি শুধু সংখ্যার হিসেব নয়; এ এক গৌরবের গল্প, সংগ্রামের ইতিহাস, আর ভবিষ্যতের স্বপ্নের বীজ বপনের অধ্যায়। প্রতি চার বছর অন্তর, লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা যখন বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদদের পাশে দাঁড়ান, তখন গোটা জাতির হৃদয় স্পন্দিত হয় একসাথে। এই লেখা সেই অম্লমধুর, অনুপ্রেরণাময় ইতিহাসেরই সাক্ষী।

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ: প্রথম পদক্ষেপ থেকে যাত্রার সূচনা

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ শুরু হয়েছিল মস্কো গেমসে, ১৯৮০ সালে। তখনও দেশটি শৈশব পার করছে। স্বাধীনতার মাত্র নয় বছর পর। সদ্য গঠিত বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর নেতৃত্বে সেই অভিযাত্রা। প্রথম দলটিতে ছিলেন মাত্র ছয় জন সাহসী ক্রীড়াবিদ:

    • সাইদুর রহমান ডন (শুটিং): দেশের প্রথম অলিম্পিয়ান। তার বন্দুকের নিশানায় ছিল গোটা জাতির প্রত্যাশা।
    • মোহাম্মদ জমির উদ্দিন (বক্সিং): রিংয়ে লড়াইয়ের জন্য মনোবল নিয়ে গিয়েছিলেন।
    • মোজাম্মেল হক (সাঁতার): জলকন্যার বুকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব।
    • আতিকুর রহমান, মিজানুর রহমান, এবং সাইদুর রহমান (অ্যাথলেটিক্স): ট্র্যাকের পথে বাংলাদেশের প্রথম পদচিহ্ন।

    অর্জন তখনই ছিল অংশগ্রহণই বিজয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বয়কটের মধ্যেও বাংলাদেশের উপস্থিতি ছিল আত্মপরিচয়ের ঘোষণা। ড. শামসুল বারি চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্রীড়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক, তার গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, “৮০-র মস্কো গেমস বাংলাদেশের জন্য একটি সাহসী পদক্ষেপ ছিল। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল, ক্রীড়া কূটনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচনা।”

    পরের দশকগুলোতে অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকে, যদিও ক্রীড়াবিদের সংখ্যা এবং ইভেন্টের পরিধি তখনও সীমিত ছিল। লস এঞ্জেলেস (১৯৮৪), সিউল (১৯৮৮), বার্সেলোনা (১৯৯২) – প্রতিটি গেমসই ছিল অভিজ্ঞতা অর্জনের মঞ্চ।

    স্মরণীয় মুহূর্ত ও উজ্জ্বল প্রতিভা: অলিম্পিকের মঞ্চে বাংলাদেশের মুখ

    যদিও পদক এখনও অধরাই রয়ে গেছে, তবুও অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য স্মরণীয়, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং গর্বের মুহূর্ত। এই মুহূর্তগুলোই আমাদের অগ্রযাত্রার পাথেয়:

    • আটলান্টা ১৯৯৬: সিদ্দিকুর রহমানের ঐতিহাসিক দৌড়:
      সিদ্দিকুর রহমান শুধু বাংলাদেশের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট নন, তিনি এক প্রতীক। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তার অংশগ্রহণ ছিল ঐতিহাসিক। যদিও তিনি প্রাথমিক রাউন্ডেই বিদায় নেন (১০.৮১ সেকেন্ড), কিন্তু সেই স্টেডিয়ামে লাল-সবুজের পতাকা উড়তে দেখা ছিল লক্ষ মানুষের হৃদয়ে অমোঘ অনুভূতি। সিদ্দিকুর স্মৃতিচারণ করেন, “যখন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হলো, আর আমি ট্র্যাকে নামলাম, গোটা শরীরে শিহরণ ছুঁয়ে গেল। লক্ষ মানুষের চিৎকারের মধ্যে শুনতে পেলাম কেউ বাংলায় উৎসাহ দিচ্ছে। ওই মুহূর্তটা জীবনে ভোলার নয়।”

    • সিডনি ২০০০: আসিফ হোসেন খান – ‘বাংলাদেশি বাঘিনী’র অভিষেক:
      আসিফ হোসেন খান (৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার) শুধু প্রথম বাংলাদেশি মহিলা অলিম্পিয়ানই নন, তিনি নারী ক্রীড়ায় বাংলাদেশের সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার অংশগ্রহণ দেশে নারী ক্রীড়াকে নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে ভূমিকা রেখেছিল। তার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “ওলিম্পিক ভিলেজে থাকা, বিশ্বসেরা অ্যাথলিটদের পাশাপাশি অনুশীলন করা – এসব অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে যে শারীরিক সীমাবদ্ধতা নয়, মানসিক দৃঢ়তাই আসল।”

    • লন্ডন ২০১২: রাশেদুল ইসলামের নিশানা:
      শুটার রাশেদুল ইসলাম (১০ম এয়ার রাইফেল) লন্ডনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠতে না পারলেও, তার পারফরম্যান্স (৫৯০ স্কোর) জাতীয় রেকর্ড ভাঙে এবং আন্তর্জাতিক মানের কাছাকাছি পৌঁছায়। এটি প্রমাণ করে যে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদরাও বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা দিতে সক্ষম।

    • রিও ২০১৬ ও টোকিও ২০২০: জুডো ও শুটিংয়ে অগ্রগতি:
      সানিয়া সুলতানা (মহিলাদের জুডো) এবং আবদুল্লাহ হেল বাকি (১০ম এয়ার রাইফেল) যথাক্রমে রিও ও টোকিও গেমসে বাংলাদেশের পতাকাবাহী হন। তাদের অংশগ্রহণ ক্রীড়ার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। বাকি টোকিওতে ৬২২.৪ স্কোর করেন।

    • প্যারিস ২০২৪: বর্ধিত দল ও নতুন স্বপ্ন:
      আসন্ন প্যারিস গেমসে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে (প্রায় ১০ জনের বেশি ক্রীড়াবিদ, আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতি প্রক্রিয়াধীন)। এতে জুডো, শুটিং, আর্চারি, সাঁতার এবং অ্যাথলেটিক্সের ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এর নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।

    চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা: পদকের পথে যেসব বাধা

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ গৌরবের হলেও, পদকজয়ের স্বপ্ন এখনও অধরাই রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বহুমুখী, গভীর-মূলিত চ্যালেঞ্জ:

    • অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও অবকাঠামো:
      বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ল্যাব, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফের মারাত্মক অভাব। ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে (২০১৯) দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়া অবকাঠামো বিনিয়োগে পিছিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ সফরের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত, যা আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অর্জনে বাধা।

    • বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ ও কৌশলের অভাব:
      অনেক ক্ষেত্রেই প্রশিক্ষণ পদ্ধতি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক মানের থেকে পিছিয়ে। পুষ্টিবিদ, সাইকোলজিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্টের মতো বিশেষজ্ঞ দলের প্রায়ই অনুপস্থিতি।

    • খেলোয়াড় অনুসন্ধান ও বিকাশ ব্যবস্থার দুর্বলতা:
      গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী ক্রীড়াবিদদের চিহ্নিত করা এবং তাদেরকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য শক্তিশালী স্কাউটিং নেটওয়ার্কের অভাব। ক্রীড়াবিদদের দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের সুযোগ কম।

    • প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন ও সুশাসনের ঘাটতি:
      ক্রীড়া সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা এবং কখনও কখনও সুশাসনের অভাব প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটায়। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিওএ-র সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

    • সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট:
      বিশেষ করে মেয়েদের ক্রীড়াকে নিয়ে কিছু সামাজিক কুসংস্কার এবং ক্যারিয়ার হিসেবে ক্রীড়াকে নিয়ে অনিশ্চয়তার ভাবনা অনেক প্রতিভাকে বিকশিত হতে দেয় না।

    ভবিষ্যতের দিগন্ত: পদকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে

    অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এর পরবর্তী অধ্যায় হবে আরও গৌরবোজ্জ্বল। পদকের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন সম্মিলিত, সুপরিকল্পিত ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা:

    • লং-টার্ম অ্যাথলিট ডেভেলপমেন্ট (এলটিএডি) মডেল বাস্তবায়ন:
      কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের সফল মডেল অনুসরণ করে বয়সভিত্তিক, পর্যায়ক্রমিক উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করা। স্কুল ও মাদ্রাসা স্তর থেকেই মেধা শনাক্তকরণ ও লালনের ব্যবস্থা।

    • বিশেষায়িত এক্সিলেন্স সেন্টার স্থাপন:
      শুটিং, আর্চারি, সাঁতার, অ্যাথলেটিক্সের মতো পদক পাওয়ার সম্ভাবনাময় ইভেন্টগুলোর জন্য বিশ্বমানের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ। বিদেশি কোচ ও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ।

    • বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সাপোর্ট সিস্টেম:
      ক্রীড়া বিজ্ঞান, পুষ্টি, স্পোর্টস সাইকোলজি এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সকে প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ করা। প্রতিটি জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট টিম গঠন।

    • বর্ধিত বাজেট বরাদ্দ ও কর্পোরেট অংশীদারিত্ব:
      ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাজেটে ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো। কর্পোরেট স্পনসরশিপ ও CSR কার্যক্রমের মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা।

    • আন্তর্জাতিক এক্সপোজার ও প্রতিযোগিতা:
      ক্রীড়াবিদদের বিদেশে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা। অভিজ্ঞতা অর্জনই বিশ্বমানের পারফরম্যান্সের চাবিকাঠি।

    • গ্রাসরুট লেভেলে ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলা:
      দেশজুড়ে কমিউনিটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স স্থাপন, স্কুল পর্যায়ে ক্রীড়াকে বাধ্যতামূলক ও আকর্ষণীয় করে তোলা।

    প্যারিস ২০২৪ হতে পারে একটি টার্নিং পয়েন্ট। বর্ধিত দল, আরও ভালো প্রস্তুতি এবং সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ (যেমন জুডোয় সাবিনা আক্তার, আর্চারিতে রিয়াদুল ইসলাম, শুটিংয়ে আবদুল্লাহ হেল বাকি ও আরিয়ান চৌধুরী) নতুন আশার সঞ্চার করছে।

    জেনে রাখুন

    • বাংলাদেশ প্রথম কোন অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়?
      বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করে ১৯৮০ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) মস্কো শহরে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে। ঐ দলে ছয় জন ক্রীড়াবিদ ছিলেন, যারা শুটিং, বক্সিং, সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

    • কোন বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ অলিম্পিকে সেরা পারফরম্যান্স করেছেন?
      যদিও কোন বাংলাদেশি অলিম্পিক পদক জিতেননি, তবে শুটার রাশেদুল ইসলাম (লন্ডন ২০১২, ১০ম এয়ার রাইফেল) ৫৯০ স্কোর করে জাতীয় রেকর্ড ভেঙেছিলেন এবং ফাইনালে উঠতে না পারলেও বিশ্বমানের কাছাকাছি পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন। সাঁতারু আসিফ হোসেন খান (সিডনি ২০০০) এবং সিদ্দিকুর রহমান (আটলান্টা ১৯৯৬, অ্যাথলেটিক্স) তাদের ঐতিহাসিক অংশগ্রহণের জন্য স্মরণীয়।

    • এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন?
      টোকিও ২০২০ গেমস পর্যন্ত, মোট ৩৬ জনেরও বেশি বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ (পুরুষ ও মহিলা) গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্যারিস ২০২৪-এ এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    • কোন ক্রীড়ায় বাংলাদেশের পদক জেতার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা?
      বর্তমান পারফরম্যান্স ও আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং বিবেচনায়, শুটিং (বিশেষ করে ১০ম এয়ার রাইফেল), আর্চারি এবং জুডো -এ বাংলাদেশের পদক জেতার উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ইভেন্টে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদরা ইতিমধ্যেই ভালো ফলাফল দেখাতে শুরু করেছেন।

    • প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে বাংলাদেশের কেমন প্রস্তুতি?
      প্যারিস ২০২৪ অলিম্পিকে বাংলাদেশ সম্ভবত ইতিহাসের সর্ববৃহৎ দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুটিং, আর্চারি, জুডো, সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্সে ক্রীড়াবিদদের যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা চলছে। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প এবং বিদেশে প্রস্তুতিমূলক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রস্তুতির মান উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিকের বিশাল মঞ্চে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ শুধু ক্রীড়া নৈপুণ্যের প্রতিযোগিতা নয়; এটি আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব, অদম্য মনোবল এবং বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর এক অবিরাম প্রচেষ্টার প্রতীক। প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি দৌড়, প্রতিটি শট আমাদের সংগ্রামী ইতিহাসের নতুন পাতা যোগ করে। সিদ্দিকুর রহমানের সেই প্রথম দৌড় থেকে শুরু করে প্যারিসে যাওয়ার প্রস্তুতিতে থাকা আমাদের আজকের ক্রীড়াবিদদের দৃঢ় প্রত্যয় – সবাই মিলে বোনে একই স্বপ্নের জাল: একদিন সেই অলিম্পিক পডিয়ামে ওঠার। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব শুধু ক্রীড়াবিদ বা প্রশাসনের নয়; এটা আমাদের সবার। আসুন, আমরা প্রত্যেকে আমাদের সম্ভাব্য সমর্থন, উৎসাহ এবং সম্পদ দিয়ে সাহায্য করি। আমাদের ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করুন, তাদের সাফল্য উদযাপন করুন, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন। কারণ, যখন তারা সাফল্য পাবে, তখন গৌরবিত হবে গোটা বাংলাদেশ। আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাই পারে অলিম্পিক ইতিহাসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এর পরবর্তী অধ্যায়কে করে তুলতে স্বর্ণালি।


    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    অলিম্পিক অংশগ্রহণ:গৌরবের ইতিহাস ইতিহাসে কাহিনী ক্রীড়া. খেলাধুলা গল্প গৌরব পদক বাংলাদেশের সংগঠন সাফল্য হিস্ট্রি,
    Related Posts
    Jisan

    জিশানের ফিফটিতে নেপালকে হারাল বাংলাদেশ

    August 16, 2025
    আফ্রিদি

    ‘আফ্রিদি কুকুরের মাংস খেয়েছে, তাই এত ঘেউ ঘেউ করছে’

    August 16, 2025
    বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ

    বাংলাদেশ ফুটবলের ভবিষ্যৎ:যুব প্রতিভা বিকাশে পদক্ষেপ

    August 16, 2025
    সর্বশেষ খবর
    মন্ত্রণালয়

    ৩ মন্ত্রণালয়ে আমরা ৪৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি

    TECNO

    6000mAh ব্যাটারি সহ লঞ্চ হল TECNO Spark Go 5G স্মার্টফোন

    Stolen Device Protection

    Hidden iOS Feature Prevents iPhone Data Theft

    উদ্যোক্তা

    কখনো বিলিয়নিয়ার হতে চান না এই মার্কিন উদ্যোক্তা

    Mouser Electronics Distribution

    Mouser Electronics Distribution: Leading Global Component Supply

    Avani Gregg: The Clown Makeup Prodigy Redefining Digital Stardom

    Avani Gregg: The Clown Makeup Prodigy Redefining Digital Stardom

    Andy Cohen: Extended Heart Rate Challenge Airs at Love Island USA S7 Reunion

    Andy Cohen: Extended Heart Rate Challenge Airs at Love Island USA S7 Reunion

    Samsung Galaxy S24 Ultra

    Samsung Galaxy S24 Ultra: Price in Bangladesh & India with Full Specifications

    Landman Season 2 Premieres on Paramount+ This November

    Landman Season 2 Premieres on Paramount+ This November

    Quora Monetization 2025

    Quora Monetization 2025: Earn Money Guide

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.