জুমবাংলা ডেস্ক: মিষ্টি কুমড়া চাষে বরিশালের কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুমড়ার ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষকরা অধিক ফলনের পাশাপাশি বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। এছাড়াও এর চাষে খরচ কম হয়, কীটনাশকের ব্যবহার কম। তাই অল্প খরচে বেশি আয়ের আশায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে থাকেন।
জানা যায়, বরিশালের প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়। এই অঞ্চলের চাষিরা কুমড়ার বেশ ভালো ফলন পান। উৎপাদিত ফসল জমি থেকেই বিক্রি করতে পারেন। এতে কৃষকদের পরিবহনে বাড়তি খরচ করতে হয় না। উৎপাদন বেশি হলেও খুচরা বাজার থেকে ক্রেতাদের বেশি দাম দিয়ে কিনে খেতে হচ্ছে। কৃষকদের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনে নিলেও আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা বাজারে কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে সাধারন ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বায়লাখালীর কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন বলেন, আমি গত বছর ১ একর জমিতে প্রায় আড়াই হাজার কুমড়া গাছ লাগিয়েছিলাম। ৬০ মণ কুমড়া পেয়েছিলাম। যা ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে লাভবান হয়েছিলাম। এবছরও কুমড়ার চাষ করেছি। গাছে ফুর ফল ধরা শুরু হয়েছে। আশা করছি এবছরও লাভান হতে পারবো।
কৃষক জানে আলম বলেন, আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফলন বেশি পাওয়া গেলে দর কমে যায়। আর কম ফলন পেলে দাম বেশি থাকে। তবে এবছর কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হতে পারছি। আরো একমাস কুমড়া বিক্রি করতে পারবো।
মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. লিটন বলেন, আমি প্রতি বছরের মতো এবছরও কুমড়ার ব্যবসা করছি। এবছর ১২০ শতাংশ জমি ৮৩ হাজার টাকায় কিনেছি। এছাড়াও পরিবহন ও লেবার বাবদ আরো ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আড়তদারদের কাছে ১৮ টাকা কেজি দরে কুমড়া বিক্রি করেছি। বেশি লাভ না হলেও লোকসান হয়না, কিছু লাভ করতে পারি।
বরিশাল নগরীর বাসিন্দা সাঈদ খান বলেন, আমরা শুনি কৃসকরা বেশি বেশি ফলন পেয়েছেন। তবে বাজারে গিয়ে দেখা যায় দাম অনেক বেশি। কিছুদিন আগে একটা কুমড়া কেনা যেত ৩০-৪০ টাকায়। এখন ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। এতে দেখা যায় আগের থেকে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ ফাহিমা হক বলেন, চলতি বছর বরিশালে ১ হাজার ৬৬ হেক্টর জমিতে সুইটি, সুইটগোল্ড, বারোমাসী, সুপ্রিমা, বারি, মনিকা, প্রতি, প্রণয়, স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। আবহাওয়া কৃষকদের অনুকূলে থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছে। এখানকার উৎপাদিত কুমড়া বেশ বড় হয়। আমরা কৃষকদের সহযোগিতা করে আসছি। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।