আপনি যদি কখনও ভ্রমণে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার কুবার পেডিতে যান তাহলে কিছু বিষয় আপনাকে বিস্মিত করবে। যেমন সেখানকার মরুভূমিতে অবস্থিত কুবার পেডিতে এমন শহর রয়েছে যার মাটির নিচে বাড়িঘর, সুপারমার্কেট, হোটেল, দোকান অবস্থিত। এখানে গেলে আপনি থাকতে পারবেন মাটির নিচে। মাটির নিচের বিলাসবহুল হোটেল আপনাকে বিস্মিত করবে।
ভ্রমণকারীদের জন্য একটি হোটেলে যেসব সুবিধা থাকার দরকার তার সবকিছু আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। ক্লাব, পুল গেম খেলার জন্য টেবিল, বিছানা, এমন কি রান্না করার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে সেখানে এক রাত থাকার জন্য বারো হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
সেখানকার অঞ্চলের আবহাওয়া বসবাসের জন্য বেশ আরামদায়ক। যেমন মাটির নিচে বাস করলেও সেখানে এসি বা কুলারের প্রয়োজন হয় না। মাটির নিচে বাড়ির আবহাওয়া তেমন গরম বা ঠান্ডা নয়। শীতকালে হিটার প্রয়োজন হলেও তা তেমন কষ্টদায়ক নয়।
আপনি হয়তো ভাবছেন কেন মাটির নিচে আস্ত একটা শহর গড়ে তোলা হলো। অস্ট্রেলিয়ার এ জায়গায় অনেক ওপালের খনি রয়েছে। এটি বিশেষ ধরনের রত্ন। বিশ্বব্যাপী এটি মূল্যবান রত্ন হিসেবে পরিচিত।
ওপালের খনি এখানে থাকার কারণে এ অঞ্চলকে বলা হয় ওপাল কেপিটেল অফ দি ওয়ার্ল্ড। ১৯১৫ সালে খনির কাজ পুরোদমে শুরু করা হয়। আবহাওয়ার ধরনের সঙ্গে মিল রেখেই এসব পরিত্যক্ত খনিতে মানুষের বাস শুরু হয়।
এখানে হাইব্রিড এনার্জি পাওয়ার প্লান্ট অবস্থিত। এ পাওয়ার প্লান্ট এর মাধ্যমে শহরের বিদ্যুৎ চাহিদার ৭০% মেটানো হয়। এখানকার মানুষের জীবনধারা বেশ ব্যতিক্রম বিধায় পর্যটকরা আকর্ষণ অনুভব করে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, দুই হাজার সালে হলিউডের একটি সিনেমার শুটিং হয়েছিল এখানে। যদি কখনো ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়া যান তাহলে এ শহর থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দুর্দান্ত সব অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।