অস্ট্রেলিয়ার আগেই আসবে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৭ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া দল। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। অক্টোবরের শুরুর দিকে অজিদের আসার কথা রয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড আসবে তার আগেই।

আইসিসি’র ভবিষ্যত ট্যুর পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুযায়ী, অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশে অবস্থান করবে কাছাকাছি সময়ে তিনটি ওয়ানডে ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ডেরও বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। ফলে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের অংশগ্রহণে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা শোনা যাচ্ছে।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বললেন, ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে তারা এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে চান না।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা জানান।

নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আপাতত এটাই নিশ্চিত যে অস্ট্রেলিয়া আসছে ,ইংল্যান্ডের সফর তো এফটিপিতেই আছে। ত্রিদেশীয় সিরিজ নিয়ে এখনই আমরা কিছু বলতে চাই না। কারণ সব পক্ষের একমত হওয়ার ব্যাপার আছে। সময় আরও কাছাকাছি এগিয়ে এলে অনেক কিছু পরিস্কার হবে। এখই মন্তব্য করার সময় হয়নি। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের আগে নিউজিল্যান্ডও আসবে টি-টোয়েন্টি খেলতে।’

কিউদের বিপক্ষে গেল বছরে দুটি সিরিজ কথা ছিল বাংলাদেশের। এর প্রথমটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। আইসিসি’র টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ব্ল্যাক ক্যাপসদের। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে করোনাভাইরাস। দ্বিতীয় সিরিজটি খেলার কথা ছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল টাইগারদের। কিন্তু সেটাও করোনার পেটে চলে যায়!

তার আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুই ম্যাচ সিরিজর টেস্ট খেলতে গত বছরের জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল অজিদের। ওই মাসের ১১ ও ২৩ জুন চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ম্যাচ দুটি গড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সতর্কতায় দুই বোর্ডের আলোচনার প্রেক্ষিতে সিরিজটি শেষমেষ স্থগিত করা হয়। স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই সিরিজটি মাঠে গড়ানোর লক্ষ্যে এরপর থেকে আলোচনা অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনা ফলপ্রসূ হলে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।