বিনোদন ডেস্ক : বলিউড থেকে হলিউডের পথে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার যাত্রা সহজ ছিল না। সম্প্রতি “দ্য হাওয়ার্ড স্টার্ন শো”-তে সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, নাকের একটি পলিপ অপসারণের জন্য করা অস্ত্রোপচারের পর তাঁর চেহারায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এর ফলে তিনি গভীর হতাশায় ভুগেছিলেন।
চোপড়া বলেন, “অস্ত্রোপচারের পর আমার মুখ পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। আমি মনে করতাম, আমার অভিনয়জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে। তিনটি ছবির কাজ থেকে বাদ পড়েছিলাম। সেই সময় আমি ঘর থেকে বের হতেও ভয় পেতাম।”
তাঁর এই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন তাঁর প্রয়াত বাবা, যিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি মেয়েকে আরও একটি সংশোধনী অস্ত্রোপচার করার জন্য সাহস জোগান। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “বাবা আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে অপারেশন রুমে থাকব।’ তাঁর হাত ধরে আমি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করি।”
প্রিয়াঙ্কা আরও জানান, বলিউডের পরিচালক অনিল শর্মা তাঁকে একটি সহ-অভিনেত্রীর চরিত্রে সুযোগ দিয়েছিলেন, যদিও তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল। এই সুযোগ তাঁকে জীবনে আবারও এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।
এই অভিজ্ঞতা প্রিয়াঙ্কার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, “এখন আমি আয়নায় নিজেকে দেখে আর অবাক হই না। আমি আমার পরিবর্তনকে মেনে নিয়েছি। আমার শরীর, আমার মুখ—সবই আমি। ত্রুটি থাকতে পারে, তবু এটাই আমার অস্তিত্ব।”
নিজের জীবন সংগ্রাম নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি যেমনই হই না কেন, এখন আমি সন্তুষ্ট। এটি আমাকে আরো দৃঢ় করেছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।