জুমবাংলা ডেস্ক : বাজারে বেড়েই চলেছে অস্থিরতা। দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। গতকাল সরজমিন রাজধানীর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রাজধানীর মুরগির বাজারে চলছে অস্থিরতা। দুইদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহ ব্যবধানে পিয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতিটি সবজিই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে সবজি নষ্ট এবং সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে বলছেন বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ও বুধবারে এই মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা দরে। দুইদিনের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির বাজারে এমন অস্থিরতার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজীপাড়ায় অবস্থিত শাহীন গোস্ত বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. সোহাগ বলেন, গত মঙ্গল ও বুধবারেও ব্রয়লার মুরগি কিনেছি ১৬৮ টাকা কেজিতে। বিক্রি করেছি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা দরে। আজকে ব্রয়লার কেনা পড়েছে ১৯৫ থেকে ১৯৬ টাকায়, ২১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে সবাই।
কাঁচা পণ্যের দাম বাড়া-কমার মধ্যেই থাকে, এভাবেই আমাদের বিক্রি করতে হয়। বাজারে সব ধরনের সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, গাজর ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, শজিনার ডাঁটা ১২০ টাকা ও মানভেদে কাঁচা আম ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর থেকে সবজির দামের ঊর্ধ্বগতির কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজীপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আরিফ ও হাবিব বলেন, গতকাল ২ হাজার টাকার সবজি কিনে ৫০০ টাকায় লাভ হয়নি। ঈদের পরে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁপে কিনেছি। এখন তা ৬০ টাকা কেজিতে কিনে ৬০ টাকাতেই বিক্রি করছি। কোনো লাভের মুখ দেখছি না। গরমে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। বাজরে সবজির আমদানি কম। এজন্য দাম বেশি।
বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া দেশি রসুনের কেজি ১৮০ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, দেশি আদা ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চায়না আদা ২৪০ টাকা ও আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুমে পিয়াজের দাম বাড়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পিয়াজ বিক্রেতারা জানান, এখন পিয়াজ কোল্ড স্টোরে রাখা হচ্ছে। এ কারণে কৃত্রিম সংকটে পিয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায়, রুই মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৯০০ থেকে ১২শ’ টাকা, কালিবাউশ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, চাষের কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১৩শ’ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা ও বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।