বিজ্ঞানীরা গবেষণা করার সময় অ্যান্টার্কটিকার বরফ থেকে একটি অদ্ভুত আওয়াজ শুনতে পায়। এটি তাদের গবেষণার বিষয়কে বদলে দেয়। আসলে তারা ভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছিলেন। অ্যান্টার্কটিকা আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে মানুষ এর সব ধরনের রহস্য আবিষ্কার করার চেষ্টা করে চলেছে।
বরফে ঘেরা এই অঞ্চল ইউরোপ থেকে ৪০ শতাংশ বড়। অ্যান্টার্কটিকার আয়তন ১ লাখ ৩৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর আয়তন এত বড় যে ভারতের সমান চারটা দেশ এখানে রাখা যায়। অ্যান্টার্কটিকা এমন একটি জায়গায় যেখানে বিজ্ঞানীদের গবেষণা কম হয়েছে।
এখানকার প্রতিকুল আবহাওয়া অন্যতম প্রধান কারণ। এন্টারটিকায় বরফের সংখ্যা অনেক বেশি। কোন কোন জায়গায় এর বরফের গভীরতা ৪.৭ কিলোমিটার এর থেকেও বেশি। এই বরফের মধ্যে চারটি বুর্জ খলিফা লম্বায় একের পর এক বসিয়ে দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞানীরা নিজেদের প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলে এন্টারটিকায় গবেষণা করে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে এন্টারটিকায় পিরামিড সদৃশ জিনিস দেখা গেছে। এর চারপাশ ছিলো মিশরের পিরামিডের মত কিছু। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল এন্টারটিকের কোন প্রাচীন সভ্যতা ছিল।
এ তথ্য বিশ্বাস করা হলে মনে নানা প্রশ্ন তৈরি হবে। কোন প্রাচীন বসতি এটি তৈরি করে থাকলে তারা কারা। এত ঠান্ডায় তারা কীভাবে বসবাস করেছে। বরফ ড্রিল করে তারা কিছু অদ্ভুত তথ্য পায়। যেমন হাজার হাজার বছর আগে এখানে গাছের অবস্থান ছিল।
এ সকল গাছ এখন বরফের নিচে ঢাকা পড়ে গেছে। ১১ বছর আগেও অ্যান্টার্কটিকা বরফে ঢাকা ছিলো না। গাছপালা যুক্ত কিছু অঞ্চলে এখানে ছিল। বিজ্ঞানীরা বরফের মধ্যে ৩৪টা সেনসর স্থাপন করেন। এ সেন্সর থেকে এক ধরনের অদ্ভুত শব্দ পান তারা।
এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এমন এক পর্যায়ে রয়েছে যা শুনতে পাওয়া একটু কঠিন। বরফের ভেতরে কী হচ্ছে তা জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা। এন্টারটিকার বরফ কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে আরো গবেষণা করা হচ্ছে। নানা সময়ে এই শব্দের ধারণা বদলে যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।